বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শান্তি ও উন্নয়নের স্থপতি
সিলেট নগরীতে গণসংযোগকালে ড. মোমেন
সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট মনোনীত প্রার্থী, ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি যেমন স্বাধীনতার স্থপতি, তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের শান্তি ও উন্নয়নের স্থাপতি।
তিনি শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সকল উন্নয়ন ও সফলতার গল্প দেশরতœ শেখ হাসিনার হাত ধরেই রচিত হয়েছে। আমরা আগে যা ভাবতেও পারিনি, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ সেই সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। এটা কেবল ম্যাজিকম্যান দ্বারাই সম্ভব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু, একাত্তরের পরাজিত শক্তি সেটাকে মেনে নিতে পারেনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে শতবছর পিছিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত, স্বৈরাচারী দুঃশাসনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে জঙ্গি, সন্ত্রাস, দুর্নীতির দুর্নাম নিয়ে একটি তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। শেখ হাসিনা বিগত দশ বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার ফলে সকল কলঙ্ক মোচন করে আজ একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
ড. এ কে মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যার সুফল দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ ভোগ করছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে খুব কম দিনের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নেবে।
সিলেটসহ সারাদেশের উন্নয়নে অবদানের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে বিগত দশবছরে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। সিলেটসহ সারাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে।
শান্তি ও উন্নয়নের এই ধারা বজায় রাখতে, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সিলেটে শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে এবং আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মোমেন শুক্রবার সকালে নগরীর আম্বরখানায় মনিপুরীপাড়া, দরগাহ গেইট, আম্বরখানা বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। বাদ জুমআ নগরীর নাইওরপুল, শেখঘাট ও কাজিরবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকেলে পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময়, সন্ধ্যায় জালালাবাদ ইউনিয়নের কালারুকা মাঠে নির্বাচনী সভা, রাতে কুশিঘাট পয়েন্টে, নগরীর করেরপাড়ায় অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরে পথসভা, মির্জাজাঙ্গাল লোকনাথ মন্দির এলাকায় গণসংযোগ, দক্ষিণ সুরমার ক্বীনব্রিজ মোড়ে ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত সভা ও যতরপুর পুকুরপাড়ে সভা, নগরীর বড়বাজার ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায় নির্বাচনী সভায় যোগ দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক লোকমান আহমদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, বিজিত চৌধুরী, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা তপন মিত্র, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জুবের খান, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদদ শাহনুর, অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিরাজী, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আলী হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মনফর আলী, সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু, ফারুক খান, মহানগর শ্রমিকলীগ সভাপতি এম. শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সুদীপ দে, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, ইলিয়াস আহমদ জুয়েল, বিলাল খান, এমএ খান শাহীন, আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, শান্ত দেব, মুকির হোসেন চৌধুরী, হাজি রইছ আলী, সিরাজুল ইসলাম, হাজি আব্দুল মতিন, জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মছদ্দর আলী, ইউপি সদস্য মানিক মিয়া, কমর আলী, শরিফ আলী, মুক্তিযোদ্ধা তফজ্জুল আলী, বুরহান উদ্দিন, যুবনেতা মো. উবায়দুল্লাহ ইসহাক, সাধারণ সম্পাদক আশ্রব আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি পিযুষ কান্তি দে, মণিপুরি সম্প্রদায়ের শতবর্ষী নারী চন্দ্রকলা দেবী, পঞ্চু সিংহ, শংকর সিংহ, অমিত সিংহ, পকেওম সিংহ, মনোরঞ্জন দাস, প্রদীপ সিংহ, রনি কুমার সিংহ, চা-শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালা, ইউপি সদস্য রন বাহাদুর জুটে, ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ, জাফর চৌধুরী বুলবুল, রমেশ মুন্ডা, বিকাশ রঞ্জন মুন্ডা, নিতাই, পথিক পাল, প্রদীপ পাল, মাখন পাল, এম এ সালাম, দীলিপ ঋষি প্রমুখ।