দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় এগিয়ে কামরান, অভিমানে পিছিয়ে আরিফ
স্টাফ রিপোর্ট: সিলেট সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এখন নিজ নিজ দলীয় এমপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন। এই দু’জনের মধ্যে আগে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয নির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
যদিও তিনি নিজেও সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলীয হাই কামন্ড ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন থেকে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে মোমেনকে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করেন সেদিন থেকেই নৌকার পক্ষে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে মাজার জিয়ারত, কার্যালয় উদ্বোধন, আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরু পর্যন্ত তিনি ছিলেন ড. একে মোমেনের পাশেই। এখনো দিনরাত সভা সমাবেশ ও গণসংযোগে সময় কাটছে তার। এ ক্ষেত্রে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছিলেন নিষ্ক্রিয়। তাকে দেখা যায়নি এরকম কর্মকাণ্ডে।
এর আগে তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইনাম আহমদ চৌধুরীকে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলীয় হাই কমান্ডে আবেদন করেছিলেন। অপরদিকে কামরান দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অগাধ বিশ্বাস শ্রদ্ধা ও আস্থা রেখইে তাঁর দেওয়া সিদ্ধান্তকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেন।
কিছুদিন আগে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁর জন্য নেতাকর্মীরা যতটুকু কাজ করেছেন ড. এ কে আবদুল মোমেন ও নৌকার জন্য তিনি তার চেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী ঘরনার অনেকেই। শারিরীক অসুস্থতার মাঝেই অবিরাম কার্যক্রম দৃষ্টি কেড়েছে অনেকেরই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অবস্থান ভিন্ন। তিনি সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের ওপর অভিমান করে বসে ছিলেন। খন্দকার আবদুল মুক্তাদির অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় শীর্ষ নেতা ছাড়াই পথ চলেছেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ, জমাদান থেকে শুরু করে মাজার জিয়ারত ও গণসংযোগে দেখা মেলেনি স্থানীয় বড় নেতাদের। তার পরও থেমে থাকেননি খন্দকার মুক্তাদির। তিনি অভিমানী নেতাদের মান ভাঙাতে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করে গেছেন। মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হওয়া এবং জমা দেওয়ার পরপরই খন্দকার মুক্তাদির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে ছুটে যান। নগরভবনে মেয়র আরিফের কাছে গিয়ে তাঁর সাথে করমর্দন করেন খন্দকার মুক্তাদির। এ সময় আরিফের মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপরও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেখা যায়নি।
অবশেষে আরিফের সাথে আরেকবার সাক্ষাত করেন খন্দকার মুক্তাদির। সে সাক্ষাতে আরিফুল হক চৌধুরী ঘোষণা দেন তিনি মুক্তাদিরের পাশে আছেন পাশে থাকবেন। হলোও তাই। বৃহস্পতিবার খন্দকার মুক্তাদির ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাথে রাজ পথে প্রচারণায় দেখা গেলো আরিফুল হক চৌধুরীকে। যে বিষয়টি শুভলক্ষণ হিসেবে দেখেন বিএনপি ঘরনার নেতৃবৃন্দ। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও মান অভিমান রাখা ঠিক না। এতে বৃহত্তর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তি থেকে সংগঠন বড়।