সিলেট সিক্সার্সে সুযোগ পেলেন ১০ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের ১০ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান সুযোগ পেলেন সিলেট সিক্সার্সে। তিনদিনে সিলেট ও মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে বিভাগের চার জেলার আট শতাধিক ব্যাটসম্যানের মধ্যে টপ টেন নির্বাচিত করেছেন সিলেট সিক্সার্সের নির্বাচকমণ্ডলী।
বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত বাছাই। সিক্সার্স ক্যাম্পেইন থেকে দলে স্থান পাওয়া সেরা ১০ ব্যাটসম্যান হলেন- সুহাদুল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম, আতাউর রহমান ফাহিম, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মিজানুর রহমান সায়েম, তরিকুল ইসলাম, স্বগৌত তালুকদার অর্ক, জয়ন্ত দত্ত, আরমান মাহমুদ সৌরভ ও সজীব সরকার। তাদের হাতে ইয়েস কার্ড তুলে দেন সিলেট সিক্সার্সের চেয়ারম্যান শাহেদ মুহিত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশেদ আবদুল্লাহ।
ফিউচার সিক্সার্সের বিজয়ী ১০ ব্যাটসম্যান বিপিএলের পুরো মৌসুমে থাকবেন সিলেট সিক্সার্সের সঙ্গে। সেরা ৬০’এ থাকা ব্যাটসম্যানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সিক্সার্স কর্তৃপক্ষ।
সিলেট সিক্সার্সের প্রতিভা অন্বেষণের উদ্যোগ ‘ফিউচার সিক্সার্স’-এ গত বছর অংশ নেন ১০ জন পেসার। এবার সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ থেকে বাছাই করা হয়েছে সেরা ১০ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। যারা এবার বিপিএলে সিলেট সিক্সার্স দলের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন।
সিলেট সিক্সার্সের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও অনস্পটে সহস্রাধিক তরুণ ক্রিকেটার এবার ফিউচার সিক্সার্সের ব্যাটসম্যান হান্ট প্রোগ্রামের জন্য নাম নিবন্ধন করেন। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে প্রাথমিক বাছাইয়ে অংশ নেন আট শতাধিক ক্রিকেটার।
প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৫১ জনের মধ্যে কাল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত বাছাইয়ে সেরা ১০ ব্যাটসম্যান বেছে নেন সিলেট সিক্সার্সের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন, বিসিবি বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক আবদুল হান্নান সরকার ও সিলেট সিক্সার্সের সহকারী কোচ একেএম মাহমুদ ইমন।
সিলেট সিক্সার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহেদ মুহিত বলেন, ‘সিলেটের তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলামুখী করতে নানা পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। নতুন বছরেই সিলেট সিক্সার্স একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট একাডেমি চালু করবে।’
সিলেট সিক্সার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশেদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফিউচার সিক্সার্স ক্যাম্পেইনে সিলেটের ক্রিকেটারদের আগ্রহে আমরা অভিভূত। আমরা প্রধান উপদেষ্টা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে কৃতজ্ঞ। তার জন্যই সিলেট সিক্সার্স একটু একটু করে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে।’