মৌলভীবাজারের ভুকশিমইলে কিশোর নির্যাতন হাসাপাতালে ভর্তি:

 

মৌলভীবাজারের ভুকশিমইলে 

কিশোর কে অমানবিক নির্যাতন:

মৌলভীবাজার জেলা কুলাউড়া থানার ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি গ্রামে  তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে নেট নেয়ার অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় তিন কিশোর কে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । নির্যাতিত কেশোরদের মধ্যে এক কিশোর বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।  আহত মোঃ রুবেল মিয়া, (১৪)বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রুবেলের স্বজনরা জানান একদল সন্ত্রাসীরা লোহার রড ধারা পিঠিয়ে আহত করলে একজনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় একজন কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মেডেলের চিকিৎসকরা জানান তাৎক্ষনিক মস্তিষ্কে অপারেশন করেন এবং প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় জরুরী রক্তের প্রয়োজন ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শশারকান্দি গ্রামের গিয়াস মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া ( বয়স-১৪বছর)ও তার বন্ধুরা খেলা শেষে বাড়ী ফিরার পথে একই গ্রামের মৃত মোবাশ্বির আলীর ছেলে মোঃ কয়েস মিয়া ( বয়স- ৩৫) এর নেতৃত্বে তার ছোট ভাইয়েরা ধরে নিয়ে যায়। এরপর নেট নেয়ার অপবাদ দিয়ে তাদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তুুুুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া আহতরা নিরিহ থাকায় একদল প্রভাবশালীরা তাদের কে হাত বেঁধে বুকে-পিঠে লাথি ঘুষি মারার পাশাপাশি একপর্যায়ে স্থানিয় সন্ত্রাস কয়েস মিয়া মাথায় রড দ্বারা অনবরত আঘাত করলে এক পর্যায়ে রুবেল মিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,স্থানিয় প্রত্যক্ষদর্শিরা  জানান তারা কোনো উপায় না দেখে তার মাবাবাকে ডেকে এনে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করেন।  সিলেট উসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিউরোসার্জন ওয়ার্ড – ১১ এ দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান শিশুর শরীরে আঘাতের চেয়ে মাথার আঘাত বেশী গুরুতর হওয়ায় তার মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরন ঘটে এবং কিছু অংশে রক্ত জমাট বাধে, এজন্য অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় অপারেশন করতে হয়। ডাঃ ধারনা করছেন ছেলেটিকে শক্ত বস্তুদ্বারা মাথায় আঘাত কারা হয়েছে এমনভাবে মাথা ফেটে রক্তবের নাহলেও ভিতরে মারাত্নক ইনজুরী হয়েছে। শিশুটির সফল অপারেশনের পর জ্ঞান ফিরলেও অাশংকা মুক্ত নয়।

ছেলের বাবা গিয়াসমিয়া বলেন আমার ছেলেকে মেরেফেলার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে কয়েস মিয়া এটি ঘটিয়েছে, আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন। এ ঘটনার জন্য আমি সরকারের কাছে আইনি সহায়তা চাচ্ছি। এ বেপারে কয়েস মিয়া কে বার বার ফোন করেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।  এ রিপোর্ট লেখা

পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করেন নি বলেন জানান আহত কিশোরের স্বজনরা

এ বিভাগের অন্যান্য