১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীতে ৩টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, সিলেট-১ আসনে যত উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়ন যার হাত দিয়েই হোক, এটা আমার উন্নয়ন। এটা স্বীকার করতেই হবে। এখানে কে কোন দল সমর্থিত জনপ্রতিনিধি সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরীতে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছন অর্থমন্ত্রী। এ উপলক্ষে সিলেট সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র সাথে আছে বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেশের রাজনীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলবে, তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জিতবে। ফ্রন্টভূক্ত দলগুলো ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কেউ কেউ বিএনপির সাথে জোট করে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের দেশ গড়তে চাইছেন- এমন বক্তব্যকে ‘হিপোক্রেসি’ বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। এ ধরনের মন্তব্যকে ‘মুনাফিকি’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এমএ মুমিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত প্রকৌশলী পিকে চৌধুরীসহ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকার সুরমা নদীর তীর ঘেঁষে রিটেইনিং ওয়াল ও ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহিত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। সার্কিট হাউজের সামনে থেকে কালিঘাট, মাছিমপুর, মেন্দিবাগ, নোয়াগাও হয়ে বোরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
পরে মন্ত্রী ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়ায় এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওয়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন প্রকল্প ও ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর যানজট নিরসনে পার্কিং সুবিধা সৃষ্টি, ভাসমান হকার পুনর্বাসন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা জজ আদালতসহ সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ উন্নয়নকল্পে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে লালদিঘী কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এসব উন্নয়ন সিলেট নগরীর জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে নগরী নতুন রূপ পাবে। অর্থমন্ত্রী ছিলেন বলেই সিলেট নগরীতে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তাঁর শূন্যতা সিলেটের জনগণ একদিন উপলব্ধি করবে। সিলেটের উন্নয়নে অবদান ও সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর পক্ষ থেকে মেয়র অর্থমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।