সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে সিলেটে যা বললেন : সিইসি
সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় নির্বাচন কমিশনের স্টলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশত আসনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নেই। তবে ৩শ’ আসনের মধ্যে সীমিত জায়গায় ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ইভিএমে যেসব রাজনৈতিক দল আপত্তি জানিয়েছে তারা ইভিএমের উপকারীতা সম্পর্কে অবগত নন। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। তাদেকে এর উপকারীতে তুলে ধরলে তারাও এতে আর আপত্তি জানাবেন না বলেও আশাবাদী তিনি।
ইভিএম পদ্ধতিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধীতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখনো মানুষের কাছে ইভিএম পরিচিত করা যায়নি। তাই এ পদ্ধতি সম্পর্কে এখনো সবার স্বচ্ছ ধারণা নেই। দেশের ৬৪টি জেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এই প্রদর্শনী দেখলে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন হলে নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের সম্ভবনা রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইভিএম প্রস্তুতের উপর ভোটগ্রহণের এ পদ্ধতির ব্যবহারের পরিধি নির্ধারণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম পদ্ধতিতে কোন ধরণের অনিয়মের অভিযোগও ওঠেনি বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের কোনো প্রভাব থাকবে না, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে বলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন।ৎ
এসময় তাঁর সাথে সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ও বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা। শনিবার এ মেলা শেষ হবে