আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রস্তুত, শঙ্কায় বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়। দলটির এবারের ইশতেহারে ২০৪১ সালকে সামনে রেখে আধুনিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং প্রশাসন ও সেবাখাতের বিকেন্দ্রিকরণকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এইচ. টি. ইমাম। তবে ইশতেহার তৈরিতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা সেটিই এখনো চূড়ান্ত নয়।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন তৎপরতার পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির ইশতেহার প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকা এইচ. টি. ইমাম জানান, এবারও ২০০৮ সালের দিন বদলের সনদের মতো বিভিন্ন চমক থাকছে ইশতেহারে। বিশেষ করে চাকরির পাশাপাশি যুবকদের উদ্যোক্তা বানিয়ে কিভাবে দ্রুত প্রবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে নেয়া যায় সে রূপরেখা থাকবে সেখানে।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বলেন, ‘আমাদের ইশতিহারে সেটিই বেশি থাকবে যা আমরা ২০৪১ সালে করতে চাই। আধুনিক ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আমরা চাই তরুণদের মধ্যে উদ্দ্যোক্তা গড়ে উঠুক। এই সব কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় আমরা তাই ইশতেহারে উপস্থাপনা করবো।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে যেমন প্রবৃদ্ধির হার ৮ ছাড়িয়ে গেছে, আমাদের তার চেয়ে অনেক বেশি যেতে হবে। আমাদের ডাবল ডিজিটে যেতে হবে।’

ইশতেহারে বাংলাদেশের আগামী ১০০ বছরের একটি আলাদা কর্মপরিকল্পনাও থাকবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম আরো বলেন, ‘আমাদের শুধু ২০৪১ এ থেমে থাকছি না। ১০০ বছর পর বাংলাদেশের বদ্বীপ অঞ্চল যাতে টিকে থাকে, সেজন্য নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ঢাকা অবশ্যই বসবাসের অনপুযোগী হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

ইশতেহার নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি যেখানে শেষ পর্যায়ে সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েই তারা এখনো সংশয়ে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে দলটি নির্দিষ্ট সময়েই ইশতেহার দেবে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ আমরা তো নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নেয়নি। ইশতেহার দেওয়ার সময় যখন আসবে তখন দিবো। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইশতেহার দেয় তিন দিন আগে। সুতরাং আমরা যদি নির্বাচনে যায় তাহলে ঠিক সময়ে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার আসবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন নির্বাচন করছেন। নির্বাচন কিভাবে হবে? কাদের নিয়ে হবে? নির্বাচন করার মতো একটি উপযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্ত করেই নির্বাচনের কথা ভাবা হবে। সারাদেশে ৭৮ হাজার মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে। এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলছেন, দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পরই তারা নির্বাচন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সূত্র: সময় টিভি

এ বিভাগের অন্যান্য