সিলেটের ৯ আসনে যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে বিএনপি

মবরুর সাজু:

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও ১১৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। একাধিক জরিপে এসব আসনে বড় ধরনের কোনো ঝামেলার তথ্য পায়নি দলটি।দেশব্যপী চালানো জরিপ এবং পঞ্চম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে আসনগুলোতে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকেই প্রধান টার্গেট করে এসব প্রার্থীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সংসদীয় আসনে সংগঠন গোছানো হচ্ছে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগে বিএনপির একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় এসব আসনে বিএনপি চুড়ান্ত তালিকা করতে পারেনি এখনও।  সেজন্যে

সিলেট বিভাগের ৯টি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে বিএনপি। এসব আসনে আসতে পারে নতুন মুখ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি একাদশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বাকি ৯টি আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে কেন্দ্র। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে জোটের শরিকদের জন্য ১টি আসন রাখা হয়েছে। সুনামগঞ্জ-৩ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর রাখা হয়েছে জোটের শরিকদের জন্য। জমিয়তের মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী এর সম্ভাব্য প্রার্থী। বাকি ৯ আসনে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ-২ দিরাই- শাল্লায়

ওয়ান ইলিভেনের পরিস্থিতি ডিঙ্গানো সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক,ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘদিন জণগণের কল্যাণে কাজ করে আলোচনায় রয়েছেন দিরাই, শাল্লায় বেশ কাজ করে এলাকায় জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা দিরাই-শাল্লা উন্নয়নের লক্ষে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুব চৌধুরী একধাপ এগিয়ে , এছাড়া  জাতীয় পার্ট থেকে চলে আসা নেতা আরেক সম্ভাব্য পার্থী সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী মনোননয়ন আশা করছেন, সুনামগঞ্জ-৪ সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর আসনে সাবেক হুইপ ফজলুল হক আসফিয়া, সিলেট-৪ কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাটে সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, মৌলভীবাজার-১ বড়লেখায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ সদর-রাজনগর আসনে সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে হাজী মুজিবুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ নবীগঞ্জ-বাহুবলে শেখ সুজাত মিয়া এমপি, হবিগঞ্জ-২ বানিয়াচং- আজমীরিগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন এবং হবিগঞ্জ-৪ মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল।

মর্যাদার আসন বলে খ্যাত সিলেট সদর আসনসহ বিভাগের ৯টি আসনে যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। প্রার্থী হতে শুরু হয়েছে জোর লবিং। ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মন জয় করার পাশাপাশি তারা যুক্তরাজ্যে থাকা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। যেসব আসনে যোগ্য প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে গতবারের প্রার্থী রফিক চৌধুরীর স্থলে আলোচনায় আছেন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ও সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি নজির হোসেন, ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৫ আসনে গতবারের প্রার্থী কলিম উদ্দিন মিলনের স্থলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ছাতক উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত মর্যাদার আসন সিলেট-১ এ মরহুম সাইফুর রহমানের আসনে  সাবেক এমপি মরহুম খন্দকার আবদুল মালিকের পুত্র খন্দকার আবদুল মুক্তাদির,নতুন করে প্রার্থী হওয়া ডা, শাহরয়িার হোসেন চৌধুরী, বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ (একাংশ) উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও ছোট ভাই আসকির আলী, ফেঞ্চুগঞ্জ-দক্ষিণ সুরমা- বালাগঞ্জ (আংশিক) উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে সাবেক এমপি শফি, আহমদ চৌধুরী, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেস্টা এম,এ হক, বিএনপির যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আবদুস সালাম ও গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরীর স্থলে সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশীদ মামুন (চাকসু মামুন), বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসনে জামায়াতের মাওলানা হাবিবুর রহমানের স্থলে বিএনপির সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাওলানা রশীদ আহমদ আলোচনায় রয়েছেন। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে গতবারের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবেদ রাজার স্থলে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক এমপি এমএম শাহীন, হবিগঞ্জ সদর-লাখাই উপজেলা নিয়ে গঠিহবিগঞ্জ-৩ আসনে গতবারের প্রার্থী আবুল লেইছ মুুবিন চৌধুরীর স্থলে পৌর মেয়র জিকে গৌছ ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আহম্মদুল হক দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আলোচনায় রয়েছেন।একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও ১১৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। একাধিক জরিপে এসব আসনে বড় ধরনের কোনো ঝামেলার তথ্য পায়নি দলটি।দেশব্যপী চালানো জরিপ এবং পঞ্চম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে আসনগুলোতে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকেই প্রধান টার্গেট করে এসব প্রার্থীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সংসদীয় আসনে সংগঠন গোছানো হচ্ছে। লন্ডন ও গুলশান কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে বিএনপি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কোনো নেতা নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নীতিনির্ধারক  বলেন, যেসব আসনে বড় ধরনের কোনো ঝামেলা নেই সেখানে একক প্রার্থীর একটি তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীর কাছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিফোন করে বার্তা দিচ্ছেন।
এ বিভাগের অন্যান্য