জগন্নাথপুরে বেড়েছে মশার উপদ্রব

জগন্নাথপুর পৌরশহরে ব্যাপকভাবে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন মশা বৃদ্ধি পেলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ফলে বাসাবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয়, কর্মস্থল, চলতি পথ কোথাও মশা থেকে নিস্তার মিলছে না। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে দিনদুপুরে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।

১৯৯৯ সালের দিকে জগন্নাথপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কয়েক বছর ধরে পৌরশহরের ইকড়ছই, জগন্নাথপুর, ছিক্কা, কেশবপুর, হবিবপুর, ভবেরবাজার, লুদরপুর, ইসহাকপুর, ছিলিমপুর, বলবল, ভবানীপুর, শেরসহ সব পৌরসভাজুড়ে ব্যাপকভাবে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ তারা। কিন্তু দায়িত্বশীলরা নির্বিকার। পৌরসভা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি মশা নির্মূলে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

চলতি বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব দেখা দিতে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রমতে এখানে মশার আক্রমণে শিশুরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি।

পৌরশহরের ইকড়ছই এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, মশার উপদ্রবে বাচ্চাদের দিনের বেলায়ও মশারির নিচে রাখতে হচ্ছে। রাতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়েও মশা থেকে নিস্তার মিলছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মশা নির্মূলে কোনো কার্যক্রম নেই সংশ্নিষ্টদের। পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো কিংবা স্প্রে ব্যবহার করা হয়নি। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামস উদ্দিন বলেন, মশার আক্রমণে শিশুরা বেশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। বর্ষা মৌসুমে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। মশার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে রয়েছে।

জগন্নাথপুর পৌর মেয়র আব্দুল মনাফ বলেন, পৌরসভার মশা নিধনের কোনো স্প্রে কিংবা ওষুধ নেই। তবে নাগরিক সুবিধার্থে আমরা পদক্ষেপ নেব।

এ বিভাগের অন্যান্য