বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ‘লিভ টুগেদার’ : ‘আমরা ধর্মকর্মে বিশ্বাসী নই’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ‘লিভ টুগেদার’ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই ছাত্রীকে প্ররোচিত করে ধর্মান্তরিতের মাধ্যমে মাদকে আসক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘লিভ টুগেদার’ এর অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ছাত্রী বর্তমানে পরিবারের জিম্মায় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী যে যুবকের সঙ্গে ‘লিভ টুগেদার’ করতেন তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা ধর্মকর্মে বিশ্বাসী নয়।

বোমনাথ সরকার নামে ওই যুবক সাংবাদিকদের জানান, তারা ধর্মকর্মে বিশ্বাসী নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীসহ তারা ইউটিউবে লী ও ত্রিশূল নামের দু’টি চ্যানেলে কাজ করেন। এখানে ধর্মীয় বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই। তারা বর্ণমালা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ধর্মীয় বিশ্বাস সেখানে উপেক্ষিত। তবে ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী নয় তবুও কেন ওই মুসলিম ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করা হলো তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের এশিয়ান ওমেন্স ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নকালে ‘বর্ণমালা’ নামের একটি সংগঠনের প্ররোচনায় পড়েন চার পারা কোরআন মুখস্ত করা রিপা (ছদ্মনাম)। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর বোমনাথ নামে এক যুবকের সঙ্গে লিভ টুগেদার শুরু করেন রিপা। এসময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ধীরে ধীরে তিনি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনার বাসায় নিয়ে যায়। তবে সেখানেও শান্তি মিলছে না। তাকে আবারো প্ররোচিত করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনকে জানানো হয়েছে ওই ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাই তাকে উদ্ধারের নামে ফের লিভ টুগেদারে আসক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে বোমনাথ নামে ওই যুবক। বিষয়টি বুঝতে পেরে রিপার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই ছাত্রী পরিারের হেফাজতে রয়েছে। তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে বোমনাথ নামে ওই যুবক অভিযোগ করেন, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিক্ষিত একটি মেয়েকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে শেকলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটা মানবাধিকার লংঘন। তাই মানবাধিকার সংগঠনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বলেন ওই ছাত্রীকে যদি জোর করে ধর্মান্তরিত করে থাকি তাহলে এখন ওরা তাকে মুসলমান করে নিক। আটকে রাখার কি দরকার।

যেভাবে উদ্ধার হলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী রিপা : রিপার মা একটি কলেজের লেকচারার। তিনি বলেন গত শনিবার সকালে আমি কলেজে যাচ্ছিলাম; এসময় দেখি খুলনা নগরীর গল্লামারী পুলিশ বক্সের সামনে আমার মেয়ে একটি ছেলের সাথে। তাকে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করলে সে মাদকাসক্ত অবস্থায় আমার সাথে উল্টাপাল্টা ব্যবহার ও অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে গল্লামারী পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে সেখান থেকে আমার মেয়েকে ধুতি পরা অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসি। বুধবার দুপুরে কতিপয় পুলিশ সস্য ও মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয়ে আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিতে আসে; আমি তাদের কাছে আমার মেয়েকে দিতে অস্বীকার করি।

এ বিভাগের অন্যান্য