সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

মবরুর সাজু:

নির্বাচনকে সামনে রেখে জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এ পছন্দের প্রার্থী নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ নির্বাচনে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রত্যাশার সাথে প্রতিশ্রুতির মিল নেই এমন অভিযোগও জানান ভোটাররা। তবে জনপ্রিতিনিধিরা অভিযোগ মানতে নারাজ বলছেন উন্নয়ন হয়েছে যথেষ্ট । ভোটররা জানান,সংমদ নির্বাচন দোরগোড়ায়।এলাকাবাসী খুঁজছেন তাদের পছন্দের সাংসদ। ২৭ ডিসেম্বর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সাংসদ নির্বাচন করবেন জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জবাসী। নির্বাচনকে সামনে রেখে চায়ের কাপে এখন প্রতিদিন চলছে ভোটের ঝড়। চলছে উন্নয়ন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, চাওয়া-পাওয়া-না পাওয়ার জোর হিসাব-নিকাশ।

জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ-৩ আসন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদ এ আসনে একাধিকবার সাংসদ ছিলেন। যে কারণে এ আসনটি আ.লীগের ঘাটি খ্যাত পরিচিত। এর মধ্যে সামাদ আজাদের মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনে আসনটি চলে গিয়েছিল বিএনপির দখলে। তখন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এ আসনটি আবারো আ.লীগ পুনঃউদ্ধার করে। বর্তমানে এ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ এমএ মান্নান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
জানাগেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এবারো আ.লীগ চাইছে এ আসনটি ধরে রাখতে আবার বিএনপি চাইছে দখলে নিতে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিও চাইছে সুযোগ বুঝে নতুন করে দখল করতে। তাই এবারের নির্বাচন হবে আ.লীগের মর্যাদা ধরে রাখার লড়াই ও বিএনপির দখলের লড়াই। এক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ার উপর নির্ভর করছে আসনটি কার হবে। প্রার্থী বিচারে ভূল হলে উভয়ের ভরাডুবি হতে পারে। তাই জনগণ যাকে চান, তাকেই দিতে হবে। তা হলে জনগণ মেনে নিবেন না।
এদিকে-আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় হাই কমান্ডে চলছে তাদের জোর লবিং। এছাড়া সমর্থকরাও তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তদবির করছেন। এলাকায় শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। ভোটাররাও কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ। অপেক্ষা শুধু কে হচ্ছেন দলের প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী মনোনীত হলে নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে নেতাকর্মীরা ঝাপিয়ে পড়বেন নির্বাচনী মাঠে।
এ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, আ.লীগের বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদের পুত্র কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। বিএনপির জমিয়ত নেতা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মালেক খান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ লে. কর্ণেল অব. সৈয়দ আলী আহমদ ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ। জাতীয় পার্টি থেকে লন্ডন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ শাহীদুর রাহমান। এর মধ্যে কোন দলের কে হচ্ছেন দলের কান্ডারি। কে পাবেন সোনার হরিণ খ্যাত দলীয় মনোনয়ন। তা দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা। এরপর শুরু ভোটযুদ্ধ।

সুনামগঞ্জ-৩ কে পরিবর্তনের লক্ষে পাশার ব্যপক গণসংযোগ

সুুুুনাগঞ্জ ৩ আসনে নানান আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন অনেক নেতারা। তবে এখানকার ভোটারদের পছন্দের প্রার্থী,বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা জেলায় অনেকজন থাকলে ও জনপ্রিয়তা ও সম্ভাবনার শীর্ষে জেলা জমিয়তের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এড, মা:শাহীনূর পাশা চৌধুরী আর আ’লীগে কোন্দল থাকায় বর্তমান মন্ত্রী এম,এ মান্নান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রির সামাদ আজাদ পুত্র আজিজুস সামাদ ডনের মাঝে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সুতারাং এই যখন বাস্তবতা, তখন ২০ দলীয় জোটের নেতা শাহীনূর পাশা ব্যপক গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনী এলাকায়। বেশ কয়েক বছর পর নির্বাচন আশায় সুনামগঞ্জ ৩ আসনের মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে পাশাকে নিয়ে। সামনে নির্বাচন নিয়ে পাশা বলেন জগন্নাথপুর দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জনগণ আমার প্রাণের স্পন্দন, আগামিতে সুনামগঞ্জ ৩ আসনকে আধুনিক করতে যা যা প্রয়োজন তা করবো,কথার ফুলঝুরি নয়,ঠেলাগাড়ি কাজে বিশ্বাসী যদি জনগণন আমাকে অতীতের ন্যায় সংসদে পাঠায়।

এ বিভাগের অন্যান্য