”আমাদের পৃথিবী আমরা আমাদের মত করিয়া গড়িয়া লইব”।
স্বপ্ন যাত্রার এক নির্ভীক সৈনিকঃ আরিফুল ইসলা্ম আল মুয়িদ
আমাদের আছে লাল সবুজের পতাকা। লালসূর্য দেয় শক্তি,আর সবুজ দেয় অনুপ্রেরণা। পৃথিবীতে যত মহৎ কাজ সংঘটিত হয়েছে তার অধিকাংশই হয়েছে শূন্য থেকে। আসুন সূর্যসম শক্তি আর অনুপ্রেরণা নিয়ে শূন্য থেকে শুরু করি। পৃথিবীকে চমকে দেওয়ার মত ইতিহাস রচনা করার প্রত্যয়ে।
জাতি হিসেবে আমরা প্রসংশা প্রিয়। শুধুমাত্র মঞ্চের সামনে বসে অভিনেতাদের স্বীকৃতি দিই। কিন্ত’ মঞ্চের পিছনে একদল মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে এটিকে পরিবেশন উপযোগী করে তোলেন, তাদের কখনো মুল্যায়ণ করি না। অবশ্য এই লোকগুলো স্বীকৃতির আশাও করে না । শুধু দিয়েই যায় ,, দিয়েই যায়।
আমরা সাবিরুল ইসলাম, মূসা ইব্রাহিম, সালমান রহমান ,নাফিজ বিন জাফর,সাকিব আল হাসান, মোর্শারফ করিমসহ হাজারও তরুণ প্রজন্মের তারকার কথা জানি। তারা সবাই উঠে এসেছে নিজ থেকে। কিন্তু অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্তন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শতশত উদ্দিপ্ত তরুণ। তারা জানে হিমালয় পাড়ি দিতে। জানে দুঃসাহসিক অভিযানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে ।
তাদের মাঝে রয়েছে বড় বড় সাহিত্যিক, কবি, বিজ্ঞানী,নাট্যকার,অভিনেতা,ব্যবসায়ী হওয়ারমত নানা উদ্দিপনা। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিচর্যার অভাবে চাপা পড়ে আছে আটল্যান্টিকের নিচে। আমরা যারা স্বপ্নের জগতে বিচরণ করতে চাই, কেন জানি মনে হয় অদৃশ্য কোন শক্তি আমাদের যাদুর ছুড়ি ঘুরিয়ে বলে,সাবধান! এটা তোমার কাজ নয়। স্বপ্ন শুধুমাত্র সমাজের গুটিকয়েক মানুষের জন্য। আর যখন কেউ স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চিন্তা করে, ঠিক তখনি হাজির হয় ভয় মহাশয়! মায়াবতি লজ্জা। কি আর করা ! তখন কবির কন্ঠে সুর মিলিয়ে বলতে হয়,” সদা সংসয়ে মন টলে, পাছে লোকে কিছু বলে” ।
এই ভয়,সংসয়,পিছুটান ও অদৃশ্য শক্তিকে উপেক্ষা করে যারা হাজারও তরুনের মাঝে স্বপ্নের জাল বুনে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন, তাদেরই পদচিহ্ন ধরে হেটে চলেছেন একজন তরুণ পথিক। যিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠা করেছেন বন্ধু সংগঠন বাংলাদেশ ফেন্ডস ক্লাব (বিএফসি)। যার রয়েছে প্রয়োজনীয় ও সুচিন্তিত লক্ষমাত্রা। যেখানে থাকবে সৌরভের ভালবাসা।গড়ে উঠবে এক সুবিশাল বন্ধন। সদস্য বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলা হবে ক্রিকেট,ফুটবল ক্লাব, নাট্য ও চলচিত্র পরিচালনাসহ কর্মমূখী নানা প্রতিষ্ঠান। বন্ধুদের জন্য গড়ে তোলা হবে প্রতিভা বিকাশের কেন্দ্র। উচ্চশিক্ষায় বন্ধুদের করবে নানামূখী সহযোগীতা। গরীব-দুুুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে বন্ধুরা থাকবে বদ্ধপরিকর। সেইসাথে নিজেরা দেশ-বিদেশে ভ্রমনের মাধ্যমে উপভোগ করবে জীবনের অনেকটাক্ষন। যে লোকটি শুন্য থেকে শুরু করে দুঃসাহসিক এক অভিযানে নেমেছেন। তিনি আর কেউ নন। বাংলাদেশ ফেন্ডস ক্লাব (বিএফসি)-এর প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম আল মুয়িদ।
কিন্তু এভাবে আমরা আর কতদিন নিজেদের পরিচয় ভুলে থাকব ? আমরাইতো সৃষ্টির সেরা। প্রত্যেকে ৪৯ কোটি, ৯৯লক্ষ, ৯৯হাজার, ৯শত ৯৯জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে আমরা মাতৃগর্ভে স্থান লাভ করি । তারপর শুরু হয় সংবর্ধণার প্রস্তূতি। আলো,বাতাস,প্রকৃতির সংবর্ধণা নিয়ে উপস্থিত হই পৃথিবী নামক মঞ্চে। প্রত্যেকেই হই এক একজন সেরা অভিনেতা।
আসুন না! আর বসে না থেকে সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে ক্ষমতা দিয়েছেন। সেটাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পৃথিবীতে স্বাক্ষর রেখে যাই। হয়ে যাই এক এক জন তারুন্যের প্রতীক । আর স্লোগান তুলি, ”আমাদের পৃথিবী আমরা আমাদের মত করিয়া গড়িয়া লইব”।
তো এখনই শুরু হোক, পথচলা।