দিরাই শাল্লায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মো.সামছুল হক চৌধুরী

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-২ আসনের  আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী  ও সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ রেহেনার আস্থাভাজন, যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিকলীগের কার্যকরী সভাপতি মো. শামছুল হক চৌধুরী তাঁর নির্বাচনী স্থান দিরাই শাল্লায় ব্যাপক গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় বিভিন্ন চায়ের দোকান, সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং মসজিদ মাদরাসাসহ  সকল স্থানে রয়েছে সরব উপস্থিতি। আজ রবিবার ১৯আগস্ট দিরাইয়ের জগদলে স্থানী নেতৃবৃন্দেরর সাথে নিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে গণসংযোগ ও  লিফলেট বিতরন করেন। গণসংযোগ কালে এ তরুণ নেতা বলেন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের কাছে যাচ্ছি তাদের সমস্যার কথা শুনছি। জানা যায় গ্রামীন ওয়ার্ডে সর্বস্তরের ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন ।এদিকে ভোটাররাও চাচ্ছে সামছুল হক চৌধুরী মতো মানুষ যেন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে তাদের সেবা করেন। মো, শামসুল হক চৌধুরী বলেন মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলা মাতৃসদন, পরিস্কার পরিচ্ছন গ্রামীন ওয়ার্ড গড়ে তুলতে হবে, গ্রামের সকল ধরনে সরকারী অনুদান দিতে হবে ?। গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে। যার মধ্যে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা প্রদানসহ দিরাই শাল্লা কে সু-শিক্ষায় আলোকিত হিসাবে গড়ে তোলার জন্য মাস্টার প্লান করেছেন।

উল্লেখ্য,২০১৮ সালের শেষ দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জোর তৎপরতায় মেতে উঠেছেন সুনামগঞ্জ -২ (দিরাই- শাল্লা) আসনে নির্বাচনে সাংসদ পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সুনামগঞ্জ -২ আসনের সর্বত্র যেন একটা নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে বিয়ের অনুুষ্ঠানে-সব খানেই নির্বাচনী আলোচনা। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানা রকম পোষ্ট দিচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ তো এখন থেকেই নেমে গেছেন প্রচারণায়। নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরতে তাদের প্রানান্তকর চেষ্টা ভোটারদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দিয়েছে। জানা যায়, সুনামগঞ্জ ২ আসনে নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদের প্রার্থীরা ভোটের আগে দলীয় মনোনয়ন পেতে নামতে হচ্ছে আরেক ভোটে। কারণ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার আগে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতেই খুব বেশী চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য সাংসদ প্রার্থীরা।
বিশেষ করে বড় দুই দল মহাজোট ও ২০ দলীয় জোটে সাংসদ পদ নিয়ে শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ। বড় দুই দলেরই শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে অন্যরকম লড়াই। প্রত্যেকেই নিজেকে দলের মনোয়নপ্রাপ্তির জন্য নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করতে নিয়েছেন বিভিন্ন পন্থা। কেন্দ্রীয় লবিং-এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন সব প্রার্থীই। তবে পিছিয়ে নেই ছোট দলগুলোও। তারাও তাদের পক্ষে চালাচ্ছেন সরব প্রচারণা। ২০ দলীয় জোটের শরীক দলের প্রার্থীরা ও সাংসদ পদে নির্বাচন করতে সরব প্রচারণায় মেতে উঠেছে। অন্যদিকে ২০ দলিয় জোটের অন্যতম শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং জাতিয় পার্টি সাংসদ পদে প্রার্থী দিচ্ছে।