আষাঢ়-শ্রাবণ মানে না তো মন…

  নাজমুল হক ইমন

আষাঢ় শ্রাবণ- মানে না তো মন…। আষাঢ় মাস তো শেষ হতে চললো। চলছে বর্ষা। আর এ মওসুমে বৃষ্টিতে ভিজতে অনেকেই ভালোবাসেন। যখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ে তখন ঝুম ঝুম বৃষ্টি আর তার রিমঝিম শব্দই শুধু চোখ ভরে দেখতে আর মন ভরে শুনতে ইচ্ছে করে। হাতে এক কাপ গরম কফি আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির পানিতে হাত ভেজানোর মুহূর্তগুলোই আলাদা।

কাজে মন বসানো দায় হয়ে যায়। আবার অনেকে বৃষ্টি শুরু হলে ছাদে গিয়ে ভিজতে থাকে; সে অনুভূতি চমৎকার। বৃষ্টিতে ভিজতে ভয় হলেও সেই ভয়কে জয় করে অনেকেই ভেজা শুরু করে। এছাড়া এই অঝোরে বৃষ্টির মধ্যেই আবার প্রতিদিনের কাজ সারতে হয়। যদিও ঘর থেকে বেরোতে ইচ্ছে করে না কিন্তু কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হতেই হয়। বর্ষায় এসব অনুভূতি সত্যই আলাদা এবং অতুলণীয়।

‘যদি মন কাঁদে তবে চলে এসো এক বরষায়’ মন কাঁদলেই এক বরষায় চলে আসতে বলেছেন প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ! মন ভালো থাকলেও ভিজতে পারেন। কেউ নিষেধ করবে না। বড়রা সেটাতে প্রকাশ্যে বিরক্তি দেখালেও মনে মনে নিশ্চয় তাদেরও লোভ হয়। ইশ্?, যদি ভেজা যেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা। বাসা থেকে মায়ের জোরাজুরিতে ছাতা নিয়ে বাইরে এলেও সেটা ব্যাগেই থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকি যে সময়টুকু এর মধ্যে বৃষ্টি এলেই দে দৌড় খোলা মাঠে। বন্ধুদের নিয়ে টিএসসি থেকে কার্জন হল চষে বেড়াই।’ রাজধানীর ইমপিরিয়াল কলেজের ছাত্র আহসান হক বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলি বন্ধুদের নিয়ে। বৃষ্টির পানিতে পুরো মাঠ কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যেই আমরা একসঙ্গে খেলা আর ভেজা দুটোই উপভোগ করি।’

বাসার ছাদে উঠে মেসের বন্ধুদের নিয়ে কয়েক দিন বৃষ্টিতে ভিজেছেন সোহেল। ভেজার ছবি দেখেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা হল তার সঙ্গে। সোহেল বলেন, ‘গ্রামে থাকতে নিয়মিত বৃষ্টিতে ভিজতাম। ঢাকায় আসার পর সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ছিল। তাই বিকালে বৃষ্টি নামতেই মেসের বন্ধুদের নিয়ে ছাদে উঠলাম। অবশ্য ছাদে উঠতেও বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। বাড়ির মালিককে বুঝিয়ে চাবি এনে তারপর ছাদে এসে ভিজেছি। এরই ফাঁকে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করি।

এ বিভাগের অন্যান্য