জনগণের মুখোমুখি সিসিকের ৭ মেয়র প্রার্থী
মেয়র নির্বাচিত হলে কে কি করবেন তা তুলে ধরলেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৭ মেয়র প্রার্থী।
আজ বুধবার দুপুরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ আয়োজিত ‘জনগণের মুখোমুখি মেয়র প্রার্থীরা’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭ প্রার্থী নিজেদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।
সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুজনের সদস্য সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নাগরিকরা মেয়র প্রার্থীদের কাছে নগরীর বিভিন্ন সমস্যা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেন।
এবারের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা প্রতীক), বিএনপির মনোনীত আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ প্রতীক), নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম (বাসগাড়ি প্রতীক), মহানগর জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি প্রতীক), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন (হাতপাখা প্রতীক), সিপিবি-বাসদ মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর (মই প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের (হরিণ প্রতীক)।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, মেয়রের কাজ শুধুমাত্র সড়ক ও কালভার্ট উন্নয়ন নয়। একজন নাগরিক সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রাতে যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এটি নিশ্চিত করাও মেয়রের দায়িত্ব। আমি এই নগরবাসীর সুখে দুঃখে অতীতেও যেমন পাশে ছিলাম আগামীতেও থাকবো।
‘যুবসমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা এখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তরুণ ও যুবকদের ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যে উদ্বুদ্ধ করতে আমি সচেষ্ট থাকবো’ বললেন কামরান।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি কেবল স্বপ্ন দেখাই না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। আমি যা বলি তাই করি। এই নগরীতে ২০১০ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান হয়েছিল যা একেবারেই অবাস্তব ও অনুপযোগী। আগামীতে এটি সংশোধন করে আরো পরিকল্পিত উন্নয়নে সচেষ্ট থাকবো।
নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, সিলেট নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন করে পরিকল্পিত তিলোত্তমা নগরী গড়ে তুলতে আমি কাজ করবো।
সেলিম বলেন, ৩০ তারিখের নির্বাচন যদি সুষ্ট হয় তাহলে সিলেটের জনগণ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর জামায়েতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, সিলেটকে দেশের একটি সুন্দরতম শহর হিসেবে দেখতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেবো। নগরীর আয়তন বৃদ্ধিতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবো। সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবো।
ইসলামী শাসনতন্ত্রের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি মেয়র হলে একটি করে ম্যাটার্নিটি সেন্টার ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করবো।
নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদন কেন্দ্রে চালুরও ঘোষণা দেন এই মেয়র প্রার্থী।
সিপিবি-বাসদের প্রার্থী আবু জাফর বলেন, আমি একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে কাজ করবো। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সবুজ নগরী গড়ে তোলতে সব ধরণের উদ্যোগ নেবো। এছাড়া গরীব ও মধ্যবিত্তদের বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটি কমিউনিটি সেন্টার গড়ে তুলবো।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের বলেন, আমি স্বপ্ন দেখাই নাই, আমি বাস্তবতায় বিশ্বাস করি। মেয়র হলে আমি যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। নগরীর সব সঙ্কট সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সিসিক নির্বাচনে পরাজিত হলে ফলাফল মেনে নেয়া এবং করপোরেশনের উন্নয়নে বিজয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা করাসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই ৭ মেয়র প্রার্থী।