আধুনিক সমৃদ্ধ সিলেট গড়ার প্রত্যয় বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের

মবরুর আহমদ সাজু:

সিলেটের জননন্দিত ও দুই বারের নির্বাচিত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নে তাঁর আন্তরিকতার শেষ নেই যেমন তেমনি উন্নয়নের চাকা ও প্রতিবন্ধকতার মাঝে আড়াল হবে না । গতকাল সিলেটের সময়ের সাথে একান্ত আলাপ কালে তিনি বলেন স্বপ্নের মাস্টারপ্ল্যান কে সামনে রেখে নগরীর উন্নয়নে কাজ যেমন করেছি তেমনি জীবনবাজি রেখে কাজ করবো, আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচন কে সামনে রেখে কামরান  বলেন বহু দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে, যার নেতৃত্বে থাকবে জনগণ, আমি তাদের সাথে থাকতে চাই॥ আমি শাসক হতে চাই না, জনগণের সেবক হতে চাই  আপনাদের সহযোগিতায় একটি পরিকল্পিত  আধুনিক সিটি গড়ার  আমার স্বপ্ন  সিলেটের মানুষদের  কে নিয়ে আমার  সামাজিক পারিবারিক  ও রাজনীতিকভাবে আগামীর পথ চলা। আপনারা জানেন আমার  মানে, আমাদের উন্নয়ন  । আমি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে সাথে নিয়ে  থাকতে চাই । আমি জানি প্রত্যাশার সাথে প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার ফলে ভোটারদের জন্য, নগরবাসীর জন্য ,বহু দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে, যার নেতৃত্বে থাকবে জনগণ, আমি তাদের সাথে থাকতে চাই ।নগর উন্নয়নের জন্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন ইতোমধ্যে নগরীর সমস্যা ও সমাধান জানতে  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, নগর বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেছেন দীর্ঘ  দিন জনপ্রতিনিধিত্বর অভিজ্ঞতার আলোকে  সুনির্দিষ্ট মতামত, পরামর্শ এসেছে যা এবার মেয়র নির্বাচিত হলে যার অনেক কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব। নগরবিদদের মতো আমারও আকাংখা ‘সুন্দর সমৃদ্ধ সিলেট।’ ইতিমধ্যেই যেসব সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, তা সমাধানে স্বল্প-মধ্যম-দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরিকল্পনাও করার কথা বলেন তিনি।কামরান বলেন জনগণ নির্বাচিত করলে, ৫ বছরের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রতিটি ওয়ার্ড  নির্দিষ্ট একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে নাগরিকদের সামনে দৃশ্যমান হবেই এ আমার প্রত্যাশা। তিনি বলেন নগর ভবন নাগরিকদের সেবা, স্বাস্থ্য, চিত্তবিনোদন, হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারসহ নগরীর অন্যান্য মাজার উন্নয়ন, হিন্দু র্ধমাবলম্বীদের শ্মশান সংস্কার ও উন্নয়ন, মসজিদ উন্নয়ন, মন্দির উন্নয়ন, শহীদ মিনার সংস্কার ও নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক ও রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ড্রেন সংস্কার, ফুটপাত নির্মাণ ও সংস্কার, হকার পুনর্বাসন, পানীয়জল সরবরাহ এবং নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ অনেক কিছুই তিনি পরিবর্তন করেছেন। জানাযায় ছেলেখেলার বয়সে ‘ভোটাভুটি’ খেলা খেলতেন কামরান। যে কোনো বিষয় বা ইস্যু নিয়ে তাদের পরিবারে ভোটের ডাক পড়তো। এমনকি পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন মিলেও হতো ভোটাভুটি। এ লড়াইয়ে বিজয়ী হতেন তিনি। তখনও জানতেন না একসময় বাংলার আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত সিলেটের মানুষের ভোটে জয়ী হয়ে তিনিই হবেন নগরপিতা। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান কর্তাব্যক্তি। দেড় যুগ ধরে সিলেটের নগর পিতা। তার আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা ব্যক্তি ও দলের ঊর্ধ্বে তাকে দিয়েছে বিশেষ স্থান। তার বাড়ির ড্রয়িং রুম থেকে বেডরুম পর্যন্ত থাকে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত। সাধারণ মানুষ বাড়িতে ঢুকতে বাধা পাবে বলে, কখনো বন্ধ হয় না দরজা। লাগানো হয় না গেট। দুর্যোগ-দুর্বিপাক, মারামারি যেখানেই সমস্যা মুহূর্তেই ছুটে যান মেয়র কামরান। কোথাও আগুন লাগলে ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি যাবার আগে তিনি পৌঁছে যান সেখানে। সাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা তাকে বার বার নির্বাচিত মেয়য়ের খ্যাতি এনে দিয়েছে।  জেলে বন্দি থাকলেও মানুষ তাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছে। এবার তার সামনে অপেক্ষা করছে ‘হ্যাট্রিক চান্স’। বরাবরের মতো সিলেটবাসী তার প্রতি বিমুখ হবে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস  জননন্দিত কামরানের।

 

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য