আসছে রমজান বাড়ছে বাজার

শীতকালীন শাকসবজি বাজার থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য তরিতরকারির দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার দরের বেজায় ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নাকি রমজান আগমনের বার্তা দিচ্ছে। তাদের দাবি কিছু মোনাফালোভি ব্যবসায়ীরা রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রি গোদামজাত করে রেখেছেন।

৩০ টকার বেগুন এখন ৫০ টাকা কেজিতে ঠেকেছে, শসার কেজি দ্বীগুন হয়ে ৬০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। ১৮ টাকার পেয়াজে ৭টাকা বেড়েছে। রমজান আসার আগেই বাজারে যেনো আগুন লাগতে শুরু করেছে।

নগরীর বন্দরবাজারস্থ ব্রক্ষময়ী বাজার, মিরাবাজার, শিবগঞ্জবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেয়াজ (দেশী) প্রতি কেজি ২৫ টাকা, এলসি ২৮ টাকা। অথচ, গত সপ্তাহে দেশী পেয়াজ ১৮ ও এলসি পেয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

প্রতি কেজি রসুন (দেশি) ৬০ টাকা ও এলসি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কাঁচা আম ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেশিরভাগ পণ্যে ৫/১০ টাকা করে দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রথম সারিতে রয়েছে ব্রয়লার মুরগী ও পেয়াজ। এছাড়াও রসুন, গাজর, শশা, কাঁচা মরিচ, বেগুন, পটল ইত্যাদি।

নগরীর শিবগঞ্জস্থ কিচেন মার্কেটে বাজার করতে আসা উপশহর এলাকার মুজাহিদ জানান, রমজান আসতে এখনো ২ সপ্তাহের মতো বাকী, আর এখনো কিনা বাজারে আগুন। না জানি বাকি দিনগুলোতে দ্রব্যমূল্য কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

নগরীর শিবগঞ্জ বাজারের জাকির আহমদ নামের একজন পোল্ট্রি ব্যববসায়ী জানান, ব্রয়লার মুরগী ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আমদানী কম থাকায় দাম বেড়েছে। আমদানী বাড়লে দাম কমবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়। অপরদিকে দেশী পাবদা ৫৫০-৭৫০ টাকা, টেংরা বড় সাইজ ৫শ’- ৭শ’ টাকা, টেংরা ছোট সাইজ ২৫০-৪শ’ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০- ১৮০ টাকা, রুই ছোট সাইজ ২৫০-৩০০টাকা, রুই বড় সাইজ ৪শ’-৪৫০ টাকা, ইলিশ ১ হাজার টাকা থেকে ১৩শ’ টাকা, সরপুটি ১৭০- ২শ’ টাকা, কার্ফু প্রতি কেজি ১৫০-২২০ টাকা, মৃগেল ১৮০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শিবগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখন দেশী মাছ নেই বললেই চলে। যার দরুণ দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।

সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদ’র সভাপতি শেখ মকন মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যদি মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকে তাহলে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. নুমেরি জাহান বলেন, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমকে আরো সক্রিয় হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য