বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি

বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে  মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে  সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করা এবং সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাঠামো গড়িয়া তুলিবার নিমিত্ত বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যেগ্রীষ্মকালীন কাল বৈশাখী এবং বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতের প্রকোপ বৃদ্ধির  ফলে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে  মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি ও পালন করা হয়েছে।  মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে গতকাল  সকাল দশটায় নগরীর পায়রাস্থ মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহিবুর রহমান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম, শিক্ষক,শিক্ষিকা সহ অসংখ্য শিক্ষার্থীবৃন্দ.. অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যকস শিক্ষার্থীদের হাতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের লিফলেট তুলে দেয়া হয়। লিফলেটে বর্ণনামূলক অংশে বলা হয়।

*ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহিরে হবেন না।অতি জরুরী প্রয়োজন হলে রবারের জুতা পড়ে বেড় হতে পারেন।
*বজ্রপাতের সময় খোলা যায়গায়,খোলা মাঠে অথবা উচু স্থানে থাকবেন।
*বজ্রপাতের সময় ধান ক্ষেতে বা খোলা মাঠে থাকলে তারাতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে ও কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ রাখুন।
*যতো দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
*উচু গাছ ও বৈদ্যুতিক ঘুটি ও তার ধাতব খুটি মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন।
*বজ্রপাতের সময় গাড়ীর ভিতর অবস্থান থাকলে গাড়ীর ধাতব অংশের সাথে শরীরে সংযোগ ঘটাবেন না।সম্ভব হলে গাড়ীটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির আশ্রয় নিন।
*বজ্রপাতের সময় মোবাইল ল্যাপ্টপ কম্পিউটার ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজ সহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
*বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না।জরুরী প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
*বজ্রপাতের সময় শিশুদের খেলার মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও থাকুন।
*বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না।তবে এসময় সমূদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
*বজ্রপাতে ও ঝড়ের সময় বাড়ীর ধাতব কল সিড়ি ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
*খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকা কালিন বজ্রপাত শুরু হলে পত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরে দুরে সরে যাবেন।
*কোনো বাড়ীতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে থাকবেন।
*প্রতিটি বিল্ডিং এ বজ্র নিরধক দন্ত স্থাপন নিশ্চিত করুন।
*বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য বাড়ীর পাশে মাঠে রাস্তার দু’পাশে বেশী বেশী তাল গাছ লাগান।
*বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতেদের মত করেই প্রাথমিক চিকিসা করতে হবে।প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসক কে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে।বজ্রপাতে আহত ব্যক্তির শাস-প্রশাস ও হৃদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য