ছয় বছর পর দেশে ফিরলেন মালালা

নোবেলজয়ী নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তান ফিরেছেন। ছয় বছর আগে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এই প্রথম নিজ দেশে ফিরলেন মালালা।

২৯ মার্চ, বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন মালালা। চারদিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর সাথে দেখা করবেন তিনি।

দেশটির এক সরকারি কর্মচারীর বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে তার সফরের অন্যান্য তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।

বাবা-মার সাথে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মালালাকে বের হতে দেখা যায় স্থানীয় টেলিভিশনে। মালালা ফাউন্ডেশনের কর্মীদের সাথে পাকিস্তানে আসেন তিনি। তবে এই সফরে মালালা নিজের জন্মস্থান সোয়াত যাবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।

মালালা ইউসুফজাই ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী। ১১ বছর বয়স থেকে পাকিস্তানের তালেবান ক্ষমতাধীন সোয়াত উপত্যকায় জীবনযাপন নিয়ে ব্লগ লিখতে শুরু করেন তিনি। তবে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ২০১২ সালে। ওই বছরের ৯ অক্টোবর তার স্কুল বাসে এক বন্দুকধারী ওঠে জিজ্ঞেস করে, ‘মালালা কে?’ এরপর মালালার মাথায় গুলি করে সে।নারীশিক্ষার পক্ষে প্রচারাভিযান চালানোয় তালেবানরা মালালার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

সে সময়ে পাকিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী বলেছিল, পশতুন এলাকায় পশ্চিমা সংস্কৃতি ছড়ানোর কারণে মালালাকে গুলি করেছে তারা।

মালালাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম নিয়ে যাওয়া হয়। এই শহরেই তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। মূলত আহত হওয়ার পর প্রায় আলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার এই ঘটনাটিই মালালাকে জনপ্রিয় করে তোলে।

সুস্থ হওয়ার পর সারা বিশ্বে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করেন মালালা। গত বছর জাতিসংঘের সর্বকনিষ্ঠ শান্তিদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

টুইটারের মাধ্যমে পাকিস্তানের অনেক নাগরিক মালালার আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে পাকিস্তানে মালালার বিরুদ্ধেও আছেন অনেকেই।  বিগত বছরগুলোতে তালেবান তৎপরতা কমে গেলেও পাকিস্তানে এখনো সক্রিয় আছে তারা।

এ বিভাগের অন্যান্য