ফেঞ্চুগঞ্জে ৫ ইউপিতে ভোট গ্রহণ শুরু.. মবরুর সাজু:
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে সকাল থেকে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি কম। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিপি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। অধিক ঝঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সীমানা নিয়ে আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ইউপি নির্বাচন আটকে ছিল। পাঁচটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২২৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঁচ ইউনিয়নে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে। তবে যারাই বিজয়ী হোক না কেন, ব্যবধান খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলার ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেবেন। সব ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। অতিঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫টি। ফলে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেভাজন মনে হলেই করা হচ্ছে তল্লাশি। যানবাহন থামিয়েও তল্লাশি করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে প্রধান প্রধান সড়কে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরেই উপজেলা সদরের নির্বাচনী অফিস থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বুঝে নিয়েছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার থেকেই কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। সূত্র জানায়, একাধিক ভোট কেন্দ্র দুর্গম এলাকায় হওয়ায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা নৌপথে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেন। উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয় গিয়ে দেখা যায়, ব্যলট, সিল, কালি ও ভোটবাক্সগুলো বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারদের। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য মাঠে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম কাজ করছে। ভোটের দিন সকাল থেকে দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। উপজেলার সব ভোট কেন্দ্রে ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাসহ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই ফল ঘোষণা করা হবে। ফঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা টহল টিমের সঙ্গে রয়েছেন।