নিরাপদ সিলেটের দাবিতে কাফন জড়িয়ে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মাহিদ আল সালাম হত্যার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে আছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী, আর তাদের চারপাশে গোল হয়ে বসে-দাঁড়িয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা। তাদের কণ্ঠে নিরাপদ সিলেটের দাবিতে শ্লোগানে উত্তাল আজ নগরীর চৌহাট্টা চত্বর।সেখানে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী অবস্থান। শুধু শাবিপ্রবিই নয়, এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।‘নিরাপদ সিলেট চাই’, ‘হত্যাকারীর বিচার চাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেন?’ এমন সব শ্লোগানে রাজপথ কাঁপাচ্ছেন হাজারো শিক্ষার্থী। চৌহাট্টা মোড়ে এই অবস্থানের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সব ধরণের যান চলাচল। চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা, নয়াসড়ক, রিকাবী বাজার ও জিন্দাবাজার সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।তবে মানবিক আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতেই দেখা গেল শিক্ষার্থীদের। তাই জরুরী সেবায় নিয়োজিত এম্বুলেন্সকে গন্তব্য যাওয়ার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন নিজেরাই। আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট সাময়িক অসুবিধার জন্য মাইকেও বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করতে শোনা গেল নগরবাসীর কাছে।নিহত মাহিদের সহপাঠী মাহমুদ জানান, এই আন্দোলনটি তারা ছড়িয়ে দিতে চান সারাদেশে। তারা চান না এভাবে আর কোন শিক্ষার্থীর বা অন্য কারো জীবন অকালে ঝরে যাক। মাহিদের হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।মাহমুদ জানান, এই অবস্থান কর্মসূচির পর তারা হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারসহ সিলেটের সড়কগুলো নিরাপদ করার দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে যাবেন সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে।এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে পায়ে হেঁটে চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে যাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা।রোববার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মাহিদ আল সালামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তারা নিয়ে যায় মাহিদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও ল্যাপটপ। তাৎক্ষনিকভাবে আহত মাহিদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মাহিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কদমতলী বাস টার্মিনালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য