সিলেটে অস্বাভাবিকহারে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে!
প্রতিবছর আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। প্রতিবছর সারাদেশে যে পরিমাণ খুনের ঘটনা ঘটে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সিলেটেও এ সংখ্যা কম নয়। গত বছর ২০১৭ সালে সিলেট বিভাগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ১১৯৭ জন। এদের মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় গত বছর আত্মহত্যা করেন ৬২জন। এদের মধ্যে ৫০ জন দেন গলায় ফাঁস, ৮ জন করেন বিষপান আর ৪ জন গায়ে আগুন দিয়ে করেন আত্মহত্যা। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ সকল তথ্য জানা যায়।পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সারাদেশে ১১ হাজার ৯৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে সাত হাজার ৫৬৯ জন, বিষপানে তিন হাজার ৪৬৭ জন এবং গায়ে আগুন লাগিয়ে ৫৯ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। বরিশালে গত বছর দুই হাজার ৫৮৫ জন আত্মহত্যা করেছেন।২০১৬ সালে সারাদেশের আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ১০ হাজার ৬০০টি। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৫ টিতে। প্রতিবছর আত্মহত্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে সারাদেশে ১০ হাজার ২০০ জন এবং ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৫০০ জন আত্মহত্যা করেন।প্রতিবছর সারাদেশে যে পরিমাণ খুনের ঘটনা ঘটে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালে খুনের ঘটনা ছিল চার হাজার ৫১৪টি, অথচ আত্মহত্যার ঘটনা ছিল ১০ হাজার ২০০টি। একইভাবে ২০১৫ সালে চার হাজার ৩৬টি খুন হয়, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ১০ হাজার ৫০০টি। ২০১৬ সালে তিন হাজার ৫৯১টি এবং ২০১৭ সালে খুনের ঘটনা কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ৫৪৯টিতে।বরিশাল বিভাগে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বরিশালের পর ঢাকা বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে। এই বিভাগে গত বছর দুই হাজার ৫৮৫ জন আত্মহত্যা করেন। এরপর যথাক্রমে রংপুরে এক হাজার ৪৩৩ জন। অন্যান্য বিভাগেও এই সংখ্যা উদ্বেগের। রেলওয়ে রেঞ্জেও আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে গত বছর। তৃতীয় সর্বোচ্চ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে রেলওয়ে রেঞ্জে। এই রেঞ্জে এক হাজার ২৩১ জনের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।বিশ্বব্যাপীও আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (এইচডাব্লিউও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের যত মানুষ যুদ্ধবিগ্রহে মারা যায়, তার চেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনায় মারা যাচ্ছে।