সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরে বালি দিয়ে বাঁধ!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বালিযুক্ত মাটি দিয়ে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মিত হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে বাঁধের মাটি ধসে পড়বে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

১৪ মার্চ বিকেলে উপজেলার মইয়ার হাওরের কয়েকটি বাঁধে এমন দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মইয়ার হাওরস্থ ষ্টিল ব্রিজ সংলগ্ন নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতায় ২৩ নম্বর প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ প্রায় শেষ । ওই বাঁধের কিছু কিছু স্থানে বালি মাটি দেখা গেছে। পুরাপুরি সম্পন্ন হয়নি ড্রেসিংয়ের কাজ। স্লুপের কাজ হয়েছে মোটামুটি। দুরমুজের বদলে মাটি কাটার ভারি মেশিন দিয়ে বাঁধের ওপরে দুই পাশে চাপ দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝের অংশে কাজ হয়নি। বাঁধের এক পাশের অংশে ঘাস লাগানোর কাজ চলছে। বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় বালি মাটি দিয়ে কাজ হয়েছে।

প্রকল্পের সভাপতি শের মাহবুব কাছা মিয়া জানান, মাটির সংকট আছে। এর জন্যই বালি মাটি রয়েছে।

এদিকে এ প্রকল্পের পাশের ১৩ নং পিআইসিতে মাটি কাজ শেষ হলেও ড্রেসিং হয়নি এখনও। ওই এলাকার ১০০ নম্বর প্রকল্পের কিছু অংশেও রয়েছে বালি মাটি। ১১০ নম্বর প্রকল্পের পুরাপুরি কাজ শেষ হয়নি। এখনও কিছু অংশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।

এছাড়া নলুয়া হাওরের পোল্ডার ১ এর ১০৮ নম্বর প্রকল্পের অনেক স্থানে মাটিই পড়েনি।

ওই প্রকল্পের পিআইসি সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, আমাকে যে অংশে মাটি ভরাটের কাজের কথা বলে হয়েছে আমি সেই অংশে কাজ করছি।

কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মইয়ার হাওরস্থ বেশ কয়েকটি বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালি মাটি দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। যে কারণে সামান্য বৃষ্টির পানিতে বাঁধের মাটি নিচের দিকে ধসে পড়বে। এসময় তিনি ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় হতাশ জানান।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও, জগন্নাথপুর উপজেলার আঞ্চলিক অফিসের প্রধান নাছির আহমদ বলেন, নলুয়া ও মইয়ার হাওরের যেসব ফসলরক্ষা বাঁধে বালি পাওয়া যাবে সেই সব বাঁধে পুনরায় টেকসই কাজ করানো হবে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ অঞ্চল পলি মাটিযুক্ত। প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পিআইসিরা বালি মাটি সরিয়ে কাঁদামাটি দিয়ে কাজ করছেন। তারপরও যেসব প্রকল্পগুলোতে বালি মাটি পাওয়া যাবে ওইসব বালি মাটি সরিয়ে ভালো মাটি ব্যবহার করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য