খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিশেষ অবদান রাখছেন ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ———— অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

 

কৃষি ডিপ্লোমাধারীেেদর বেতন গ্রেড উন্নীতকরনের আশ^াস দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। শেখ হাসিনা সরকারের ভিশন-২০২১ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিলো কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করা। আমাদের দেশের কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। আর এ অর্জনে বিশেষ অবদান রাখছেন আমাদের ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা।

 

সিলেট কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের দাবীর ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার,বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বিশ^াস করে, কৃষি হচ্ছে সকল উন্নয়নের মেরুদন্ড, কৃষকের উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে। আর এই কৃষকদের নিয়ে যারা কাজ করছেন, কৃষিবিপ্লবের মূল কারিগর যারা তাদের ক্ষেত্রে বেতন বৈষম্য থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য গ্রেড শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি কৃষিক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিকুল আবহাওয়া, বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জনসংখ্যার আধিক্য এইসব প্রতিবন্ধকতার পরেও দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সারাবিশে^ চতুর্থ। কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর আমাদের কৃষিবিদরা সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হলে তার ছোয়া আমাদের সামগ্রিক কৃষিখাতে প্রতিফলিত হবে।

তিনি বলেন, এই দেশে সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকের উপর গুলি চলেছে। কৃষকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে মাটি। সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষিখাতকে এই অবস্থানে এনেছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করে সেচের জন্য বিদ্যুতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সার ও বীজে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। কারণ কৃষক হাসলে বাংলাদেশ হাসবে, কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।

কৃষিবিদদের গবেষনা ও এর সফল প্রয়োগে মনোনিবেশ করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যারা মাঠে ঘাটে কৃষকের সাথে কাজ করেন তারা আমাদের সত্যিকারের উন্নয়ন অংশীদার। আপনাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। বাংলাদেশ এখন আর সেই আগের বাংলাদেশ নেই, আমাদের সম্পদ আছে। আমাদের শুধু এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পাবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা।

সিলেট কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের খাদিমনগরস্থ ক্যাম্পাসে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে মোমেন। তিনি বলেন, দেশের কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিতে নববিপ্লবের সূচনা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর উদাসীনতায় দেশের কৃষিখাতে ধ্বস নেমেছিলো, কৃষি ছিলো আমদানী নির্ভর। এখন আমাদের আমদানি কমেছে, আমরা কৃষিকে রপ্তানির পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। তাই কৃষিক্ষেত্র সহ উন্নয়য়নের এই ধারা রক্ষা করতে শেখ হাসিনাকে পুনর্নিবাচিত করতে হবে।

 

পুনর্মিলনী কমিটির আহবায়ক এমরান আহমদের সভাপতিত্বে আেেলাচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তোফায়েল আহমদ ও অমিত ভট্টাচার্য। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। তারপর অতিথিদের ফুল দিেেয় বরণ করে নেয়া হয়, প্রথম পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনা ‘শিকড়ের সন্ধানে’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের হাতে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের(এটিআই) অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, এটিআই মূখ্য প্রশিক্ষক ছারোয়ারুল আহসান, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. সৈয়দ নাসির উদ্দিন, খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আহমদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিেেলট মহানগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজসহ, এটিআই এর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

এ বিভাগের অন্যান্য