সভ্যতার ক্রমবিকাশে এগোচ্ছে নারীরা

আছমা জান্নাত মনি :এই মুহূর্তে সমাজের জন্য ইতিবাচক দিক হচ্ছে, নারীর এগিয়ে আসা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ভয়কে জয় করে, বাধার পাহাড় ঠেলেই এগোচ্ছে নারী। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আর নানা রকম কুসংস্কারকে তুচ্ছ করে ঘর থেকে বেরিয়ে তারা পৌঁছে গেছে কর্মক্ষেত্রের উচ্চ আসনে; অবদান রাখছে অর্থনৈতিক উন্নয়নে।আজকের ২০১৭ সালে অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীতে এসে নারীর জীবনযাত্রা পুরোটাই বদলে গেছে। নারী এখন আধুনিক। শিক্ষা, কর্মজীবন, সংসার, সামাজিকতা সব ক্ষেত্রে নারী তার জীবনে এনেছে নতুন পরিভাষা। প্রায় প্রতিটি মেয়ে এখন শিক্ষার সুযোগ পায়। পরিবার থেকেই কন্যাসন্তানের শিক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একইভাবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও মেয়েদের শিক্ষার জন্য রাখা হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা।  সুতারাং এই যখন  বাস্তবতা তখন বলতে হয়

নারীর স্বাতন্ত্রবোধ কেড়ে নিয়ে তার জন্য পুরুষ তৈরি করেছে অসংখ্য শক্ত শেকল। সাংসারিক জীবনে পুরুষের মনোরঞ্জনের সুবিধার্থে নারীকে করেছে ভিন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত। নামিয়ে এনেছে দাসীর পর্যায়ে। কবি চেয়েছেন এ অবস্থা থেকে নারীর মুক্তি। নারীর মানুষ হিসেবে গণ্য করার অধিকার। কবি বলেছেন, হাতে রুলি, পায়ে মল মাথার ঘোমটা ছিড়ে ফেল নারী; ভেঙ্গে ফেল ও শিকল যে ঘোমটা তোমায় করিয়াছে ভীরু ওড়াও সে আবরণ, দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন যত আভরণ”। কবি সব সময় গেয়েছেন সাম্যের গান। সে হোক মানুষে মানুষে। হোক নারী ও পুরুষে। তাই তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।সময়ের পরিক্রমায়

আজ বিশ্ব নারী দিবসটি পালনের পেছনে রয়েছে এক অনন্য ইতিহাস । ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে একটি সূচ কারখানার মহিলা শ্রমিকগণ কর্মক্ষেত্রে মানবেতর জীবন ও ১২ ঘন্টা কর্মদিবসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের উপর নেমে আসে পুলিশি নির্যাতন । ১৮৬০ সালে ঐ কারাখানার মহিলা শ্রমিকেরা ‘‘মহিলা শ্রমিক ইউনিয়ন’’ গঠন করেন আর সাংগঠনিক ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৯০৮সালে ১৫০০০ নারী কর্ম ঘন্টা,ভাল বেতন ও ভোট দেওয়ার অধিকার দাবি নিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে মিছিল করে।তারপর ১৯১০ সালের ৮ মার্চ কোপেনহেগেন শহরে অনুষ্ঠিত এক আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলনে জার্মানির মহিলা নেত্রী কারা জেটকিন ৮ মার্চকে ‘‘আর্ন্তজাতিক নারী দিবস’’ঘোষণা করেছিলেন। ১৯১১ সালে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৮ মার্চ ‘‘আর্ন্তজাতিক নারী দিবস’’পালন করা হয়। ১৯৮৫ সালে ৮ মার্চকেও জাতিসংঘ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ১৯৯১ সালে এই দিবসটি পালন করা হয় । এই বছর বাংলাদেশে নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘অগ্রগতির মূল কথা-নারী-পুরুষ সমতা।’

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ্য হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়। ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই যে একটি বিশেষ দিবস, তার পেছনে আছে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, ইতিহাস। আজকের যে মেয়েটি তাঁর শ্রমের সঠিক মজুরি পাচ্ছেন, যে কর্মজীবী নারীটি ভোগ করছেন প্রসবকালীন ছুটি; সুস্থ-সুন্দর কাজের পরিবেশে যে নারীটি কাজ করছেন, তাঁদের এই অর্জনের পেছনে আছে যেমন তাঁর যোগ্যতা ও ক্ষমতা, তেমনি আছে ৮ মার্চের ইতিহাস ও দিনটির প্রেরণা। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে পালিত হয়।[১] সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ্য হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়। এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।

এ বিভাগের অন্যান্য