গণমানুষের জন্য সিলেটের আনাচে-কানাচে ছুটে যান কামরান

নিজ নগরীতে ফিরেছেন কামরান:

মবরুর আহমদ সাজু:

কোনো সমস্য হলে কামরান দেশের মানুষের সামষ্টিক কল্যাণে নিজ জীবনকে বিসর্জন দিতে । কত আগ্নেয়গিরির লাভার মতো জ্বলন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে স্বাধিকার আন্দোলনগুলোতে তার সরব এবং

মানবতাবাদী  উপস্থিতি সবসময় মানুষ কে সর্বধা ্গভাবায় । যার ফলে অনেক মশাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে সহ্য করতে হয়েছে বছরের পর বছর কারা প্রকোষ্ঠের অন্ধকার জীবন। ভোগ করতে হয়েছে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন-নিপীড়ন। আর্তমানবতার পাশে যিনি ছুটে চলেন মানুষের জন্য এছাড়া সকারো সমস্যা হলে সিলেটের আনাচে-কানাচে ছুটে যান এ মানুষটি এদিকে গত  কয়েক দিন আগে দুপুর সাড়ে ১২টা সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দেখা গেলো ঝটলা। একটু সামনে যেতেই দেখা গেলো ১১/১২ বছর বয়সের একটি শিশুর সাথে কথা বলছেন সিলেটের প্রথম নগরপিতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। শিপু (ছন্মনাম) পরিবারের বড় ছেলে। অন্য ভাইবোনের খরছ চালাতে যে বয়সে রিক্সা চালাচ্ছে শিপু। বয়স আনুমানিক ১১/১২ বছর হবে। সাবেক মেয়রকে শিপু জানালো তার পরিবারে উপার্যনের আর কেই নেই তাই সে রিক্সা চালাচ্ছে। নগরবাসীর প্রিয় মেয়র শিপুর গেরেজের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলেন এবং বললেন তাকে যেন রিক্সার পরিবর্তে অন্যকোন কাজ খুঁজে দেন। কামরান গ্যারেজ মালিকের সাথে কথা বলার পর পরম মমতায় বুকে আগলে নিলেন শিশু শিপুকে দিন তিনেক আগে

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান গুরুতর অসুস্থ। তার হার্টে ৪টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৩টি ব্লক অপসারণ করে রিং বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পারিবারিক সূত্র। সকালে ৩টি ব্লক অপসারণ করে রিং বসানো হলে তিনি সুস্থবোধ করেন। এর আগে রোববার ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক দেখতে পান ডাক্তাররা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন থেকে সাবেক মেয়র কামরানের শরীর ভালো যাচ্ছিল না। বুকে ব্যথাসহ অন্য সমস্যায়ও তিনি ভুগছিলেন। সোমবার হার্টে রিং বসানো হয়। তিনি ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশনে রয়েছেন। আরও কয়েক দিন থাকতে হতে পারে বলে জানা য়ায়। তবে শরীরের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী আসমা কামরান এবং ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু।

শিপলু জানান, আল্লাহর রহমতে চিকিৎসকরা তিনটিতে রিং বসিয়েছেন। এই মুহূর্তে আরেকটিতে রিং বসানো লাগবে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হার্ট ফাউন্ডেশনে আরও ২-১ দিন থাকা লাগতে পারে। শিপলু তার বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা করেন। এদিকে গণমানুেষের প্রার্থনায়ঢাকার জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা শেষে সিলেটে ফিরেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ছড়ারয়ারস্থ বাসায় এসে পৌছান। এদিকে কামরানের ছড়ারপাড়স্থ বাসায় তাঁকে দেখতে যান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। এ সময় আসাদ উদ্দিন তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
এছাড়া কামরানের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীছাড়া সিলেটে সর্বস্থরের মানুষের কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন তার স্বজনরা।

উল্লেখ্য, কামরান কিছুদিন ধরে বুকে ব্যথাসহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। এ অবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে এনজিও গ্রাম করা হয়। ধরা পড়ে ৪টি ব্লক। সাথে সাথেই ডাক্তাররা ৩টি ব্লক অপসারণ করে ৩টি রিং বসিয়ে দিয়েছেন।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। অবশ্য ইতোমধ্যে নামটির খ্যাতি পাড়া-মহল্লা, নগর ও দেশ মাড়িয়ে এখন বিদেশেও সমধিক উচ্চারিত। কোন বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে নামটি যুক্ত না থাকলেও স্বীয় প্রজ্ঞা আর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার মাধমে গণমানুষের হৃদাসন জয় করেই আজ নামটির খ্যাতি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রবাসের মাঠিতেও সমানভাবে সমাদৃত।

দেশের মানুষের সামষ্টিক কল্যাণে নিজ জীবনকে বিসর্জন দিতে। কত আগ্নেয়গিরির লাভার মতো জ্বলন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে স্বাধিকার আন্দোলনগুলোতে তার ছিল সরব এবং তেজোদীপ্ত উপস্থিতি। যার ফলে শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে সহ্য করতে হয়েছে বছরের পর বছর কারা প্রকোষ্ঠের অন্ধকার জীবন। ভোগ করতে হয়েছে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন-নিপীড়ন। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নের জন্য তার এক বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে রাজপথ থেকে শুরু করে জেল জীবনে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতেই এক সময় কামরানের উত্তরণ ঘটে জাতীয় নেতা হিসেবে। বৃদ্ধি পায় তার কর্মপরিধি, ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় ব্যক্তিগত জীবন চাহিদার ত্যাগের পরিধিও। রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মোতাবেক সারাদেশের মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উদ্ধুদ্ধ ও সংগঠিত করাই ছিল যেন তখন জীবনের একমাত্র ব্রত।

রাজনীতিবিদরা মনে করেন যাদের জীবন শুধু সংগ্রামের, ত্যাগের যারা দিতে জানে বিনিময়ে কিছু নিতে জানে না প্রকৃত অর্থে তারাই মানুষ, যাদের অনুসরণ করলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়। সে রকম একজন ণজন্মা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিলেটের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নিজ নগরীতে ফিরেছেন।
তিনি সাবেক হলেও সিলেটের মানুষ এখনও তাঁকে মেয়র বলে সম্বোধন করেন। গত কয়েকদিন যাবত সিলেটবাসী চিন্তিত ছিলেন তাদের প্রিয় নগরপিতার অসুস্থতা নিয়ে। ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার(১ই মার্চ) তিনি বাসায় ফিরেছেন।

বেশ কিছুদিন থেকেই কামরানের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। বুকে ব্যথাসহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। এ অবস্থায় ২৬ শে ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে এনজিওগ্রাম করা হয়। ধরা পড়ে ৪টি ব্লক। সাথে সাথেই ডাক্তাররা ৩টি ব্লক অপসারণ করে রিং বসিয়ে দিয়েছেন।

অসুস্থ থেকেও তাঁর মন ঢাকায় থাকতে সায় দিচ্ছিলো না। তিনি যে জনগণের মধ্যে থাকতেই স্বস্তি বোধ করেন। এ জন্য কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই তিনি প্রিয় নগরী সিলেটে চলে এসেছেন। নেতাকর্মী ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক এই নগর পিতার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া চাওয়া হয়েছে

এ বিভাগের অন্যান্য