মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সক্রিয় অ্যাকাউন্ট কমেছে ৭৬ লাখ
বর্তমান সময়ে অর্থ লেনদেনে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গেলো চার মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সক্রিয় হিসাব (অ্যাকাউন্ট) কমেছে ৭৬ লাখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো আগস্টের পর থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সক্রিয় হিসাব টানা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে গেল নভেম্বরে। শুধু এ মাসেই সক্রিয় হিসাব ৪৯ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখে। যা আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম।
অক্টোবরে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৭৯ লাখ। সেপ্টেম্বর ও আগস্টে যা ছিল যথাক্রমে তিন কোটি ও তিন কোটি সাত লাখ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গি অর্থায়ন, হুন্ডিতে রেমিটেন্স প্রেরণসহ অন্যান্য জালিয়াতি প্রতিরোধে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপের কারণে সক্রিয় হিসাব ও লেনদেন বাড়ছে না।
হুন্ডিসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগে বিকাশ এবং মোবাইল ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী দুই হাজার ৮৮৬ জন এজেন্টের অস্বাভাবিক লেনদেনে সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, নভেম্বরে অক্টোবরের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক লেনদেন বেড়েছে। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১৯ কোটি টাকা। অক্টোবরে যা ছিল ৮৯১ টাকা।
নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে মোট নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যাও। অক্টোবরে মোট ৫৭৭ লাখ নিবন্ধিত এমএফএস হিসাব থাকলেও নভেম্বরে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৫৮৫ লাখে। আলোচ্য সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট এজেন্টের সংখ্যা সাত লাখ ৭৭ হাজার ১৭৯টি। বর্তমানে মোট ১৮টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে।
এমএফএসের মাধ্যমে অবৈধভাবে রেমিটেন্স আসা ঠেকাতে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় লেনদেন সীমা কমিয়ে দেয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একটি এমএফএস হিসাব থেকে এক দিনে এখন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থ উত্তোলন করা যায়, এটি আগে ছিল ২৫ হাজার টাকা।