কষ্ট, মো,মাজহারুল আলম
- আমি আকন্ঠ ডুবে থাকি হেমলকে,তারপর আর ঘুম আসেনা,
প্রত্যেকটি নির্ঘুম রাত জানিয়ে যায় ভেতরে পুষে রাখা কষ্টের তীব্রতা কতো হতে পারে।
যে মেয়েটি কোনদিন বাবার মুখ দেখেনি তার কষ্টের তীব্রতা উপলব্ধি করার ক্ষমতা এ পৃথিবীর নেই,
একদিন সেই মেয়েটির মায়ের নিথর দেহ পড়ে থাকে পালংকের উপর,
তখন আর তার চোখে জল নামেনা,তখন তার আস্ত শরীর–ই বিষাক্ত জলে ডুবা,
তখন সে হাসেও না,সে কাঁদেও না,শুধু পড়ে থাকে।
ভাগ্যান্বেষনে গিয়ে ভাসে ছেলেটির দেহ সমুদ্রের নুনা জলে,
গাঙচিল উড়ে,খুবলে খায়,এবং সমুদ্র গিলে নেয় তার সমস্ত শরীর,ছেলেটি আর ফিরে আসেনা,
সময় বয়ে যায়,চোখের কোণের কালো দাগ জানিয়ে যায় তার মায়ের ভেতরের নীল কষ্টের কথা।
বেকার ছেলেটি হারিয়ে ফেলে তার ভালোবাসা,মেয়েটি মা হয়,ছেলেটি হারিয়ে যায় জীবন থেকে।
আমি আকন্ঠ ডুবে থাকি হেমলকে,তারপর আর ঘুম আসেনা,
তখন আমি কষ্টের তীব্রতায় কাঁদি,বালিশ ভিজে যায়,আস্তে আস্তে কষ্টরা কুড়ে খায় আমার শরীর।