সিলেটে অত্যাধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণ হবে : তথ্য সচিব
তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ জানিয়েছেন, প্রচার মাধ্যমগুলোকে আরো আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালি করার লক্ষ্যে সিলেট দেশের ২৬ জেলায় অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ তথ্য ভবন নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ করবে সরকার।
তিনি শুক্রবার সকালে সিলেট বেতারে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এটুআই প্রকল্পের আওতায় ‘ব্র্যান্ডিং সিলেট’ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
তথ্য সচিব বলেন, ২৬ জেলায় আধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, সরকারের গৃহিত সকল কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৪টি সংস্থা এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
মরতুজা আহমদ বলেন, তৃণমূল মানুষের কাছে যেকোন তথ্য পৌঁছে দেয়ার সহজ পন্থা হচ্ছে প্রচার মাধ্যম। সেটি রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে পারে।
সচিব বলেন, প্রচারে প্রসার ঘটে। সেটি ভাল সংবাদের ক্ষেত্রে কিংবা খারাপ সংবাদের ক্ষেত্রে হতে পারে। তবে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হতে হবে। সরকারের গৃহিত যেকোন কর্মসূচি, সরকারে অর্জন, জনগণের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা তুলে ধরতে প্রচার মাধ্যমের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
ব্র্যান্ডিং বিষয়ে তিনি বলেন, বহিঃর্বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের কিছু কিছু নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড আছে। আবার দেশের অভ্যন্তরে প্রতিটি অঞ্চলে একেকটি ব্র্যান্ড দিয়ে তার পরিচয় ও সুখ্যাতি রয়েছে। প্রতিটি জেলার স্বতন্ত্র ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, খ্যাতি ইত্যাদি হচ্ছে ওই এলাকার ব্র্যান্ড। এই কর্মসূচির আওতায় সরকারের প্রতিটি অঞ্চলের ব্র্যান্ডগুলো প্রচারের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে সেটা তুলে ধরতে হবে। এটা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির পথকে আরো তরান্বিত করবে।
তথ্য সচিব বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় আগের চেয়ে এখন আরো বেশি শক্তিশালি। বর্তমান সময়ে এ মন্ত্রণালয় সরকারের আন্তরিকতায় অনেক অসম্ভব কাজ সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছে। গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে সংস্থাগুলো আরো বেশি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।
মরতুজা আহমদ সিলেটকে পৃকৃতি কন্যা আখ্যায়িত করে বলেন, যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চল সকল ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ছিল। এখানে সম্ভাবনার শেষ নেই। সিলেটের ধর্ম, কর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, পর্যটন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি শুধু সিলেটকে নয়, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলকে বিধাতা যেন অপরূপ সাজে নিজ হাতে গড়েছেন। এমন সৌন্দর্য্যতা, এমন বৈচিত্রতা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। বিশেষ বিশেষ আকর্ষণ, নিজস্ব ঐতিহ্যকে তুলে ধরে সবার কাছে পৌঁছে দেয়াই ব্র্যান্ডিং সিলেটের মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সেগুলোকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেট থেকে যেকোন বিষয়ে প্রচার করলে তা দ্রুত সারা বিশ্বে পৌঁছে যায়। তিনি বর্তমান সরকারের সকল সুন্দর ও মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার সিলেট আঞ্চলিক পরিচালক মো. ফখরুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেটের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক, মোহাম্মদ আব্দুল হক, সিলেট আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ।
উপস্থিত ছিলেন বেতার সিলেট আঞ্চলিক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন খান, উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান, উপ আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু হাসান মোহাম্মদ ফয়সল, বিটিভি সিলেটের প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, বেতার সিলেটের সহকারি পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম, পবিত্র কুমার দাশ, প্রদীপ চন্দ্র দাস, মো. জোনায়েদ হোসেন, উপ বার্তা নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাসান, উপ আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমেদ, খবির উদ্দিন আকন, বেতারের বহিঃপ্রচার প্রতিনিধি এম রহমান ফারুক প্রমুখ।