একজন আদর্শ শিক্ষক একটি সমাজের বাতিঘর: বদরুল ইসলাম শোয়েব
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব বলেছেন, একজন আদর্শ শিক্ষক একটি সমাজের বাতিঘর। একজন শিক্ষার্থীর প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার পেছনে পিতা-মাতার চেয়ে শিক্ষকদের অবদান কোন অংশে কম নয়। যে সমাজে যত গুণী শিক্ষকের আবির্ভাব, সে সমাজ তত বেশি অগ্রসরমান। এসব আদর্শ শিক্ষক আপন মনে সমাজ গঠনের কাজ করে যান, গড়ে তুলেন আদর্শ জাতি গঠনের অসংখ্য শিক্ষিত জনসম্পদ।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষক একটি আদর্শ জাতি ও শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ার ক্ষেত্রে যে শ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেন তার সে অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে এবং তাদের স্মরণ রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা যেন কোনোভাবেই ক্ষুন্ন না হয়, সেদিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। সময়োপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদের জন্য শিক্ষাদানের পরিবেশকে উন্নত, সহজ ও যথোপযুক্ত করে গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এতে করে তারা আধুনিক শিক্ষাদান, নতুন নতুন গবেষণাধর্মী ও উদ্ভাবনমূলক কাজে শিক্ষককরা মনোনিবেশ করতে পারবেন।
তিনি সোমবার দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর ইউনিয়নের মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, সমাজসেবক মোবারক হোসেন।
শিক্ষানুরাগী গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা রবিউল ইসলাম জাহেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আছকির আলী, মইজ উদ্দিন, আলাল মিয়া, শিক্ষক মাওলানা নজমুল ইসলাম, সামাদ আহমদ, শাহিন আহমদ, আইন উদ্দিন প্রমুখ।