সিলেটে গ্রাহকদের টাকা নিয়ে ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তা উদাও

মবরুর আহমদ সাজু
সিলেটে জিন্দাবাজার ইসলামি ব্যাংকের গ্রাহকের সাথে লোন জালিয়াতি করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।। হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি এসব খবর যখন পুরনো ,তখন নতুন করে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতির করে নতুন করে আলোচনায় এলো সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ ইসলামি ব্যাংক শাখা। বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম সেখানে নিয়ম যেন সৃজনশীলতা হিসেবে দেখছেন ব্যাংক কর্মর্কতারা আর এমনটাই অসংখ্য গ্রাহক অভিযোগ করেছেন গণমাধ্যমের কাছে। কারন যেখানে অন্যান্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে বৈধ কাগজপত্র সাবমিট করতে হয় সেখানে ইসলামি ব্য্যংকে লাগে না এইরকম বৈধ কাগজ যা নিজের মুখে বলেলন শাখা ব্যবস্থাপক মো,এনামুর রহমান,তিনি জানান আমরা সবধরনের মানুষ কে লোন দেই! জানতে চাওয়া হলে কোন কোন ধরনের মানুষ কে লোন দেন তিনি কোনো কথা বলেন নি ? প্রশ্ন করা হলে কোন ধরনের চাকুরীজিবী কে লোন দেন কিংবা লোনের সময় জামানত রাখতে হয় কিনা সে ব্যাপারে তিনি নিরবতা পালন করেন। সুতারাং এই যখন বাস্তবতা তখন,এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জিন্দাবাজার ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহরকরা আতংকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীকের জন্য,তারা ব্যাংকে টাকা জমা রাখতেন, তবে ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা জালিয়াতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ হতবাকই হননি বরং রীতিমত আতংকের মাঝে রয়েছেনে বলে জানালেন ভুক্তভোগি গ্রাহকরা। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ এমনি কি গণমাধ্যমের অফিসে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের সাথে অভিযোগ করেছেন একাধিক গ্রাহক।নগরীর তাতীপাড়াস্থ খালেদ এন্ড ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী জাবেদ আহমদ  বলেন, ২০১৬ সালে জিন্দাবাজার ইসলামি ব্যাংক শাখায় তিনি একাউন্ট খুলে( একাউন্ট নাম্বার ১৭৪৪ খালেদ এন্ড ব্রাদার্স) ব্যবসার জন্য অর্ধলক্ষ টাকার বাৎসরিক এসএমই ঋণ নেন ,যা বছর শেষে ৮ হাজার টাকা সর্বহারে লোন প্রদান করেন, ব্যবসায় মন্দ দেখা দিলে তিনি আবারো তাঁর ব্যবসাকে চাঙ্গা করার জন্য ব্যংকে ঋণ চাইলে তৎকালীন ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হুসাইন, খালেদ এন্ড ব্রাদার্সর মালিক জাবেদ আহমদ কে তাঁর হিসেব থেকে রেনু করে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেবার জন্য আহ্বাণ জানান। পুনরায় তিনি ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, কয়েক দির পর ব্যাংকর্র্মর্কতা খালেদ এন্ড ব্রাদার্সসের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় বলে তিনি জানান। শুধু খালেদ এন্ড ব্রাদার্সের টাকা মেরে ক্রান্ত হননি উক্ত শাখার ব্যাংক কর্মর্কতা! নগরীর তাতীপাড়ার ক্যালকাটা ফ্যাশনের স্বত্তাধীকারী আব্দুল মনাফ নামের আরেক গ্রাহকের ৫৮ হাজার টাকা নিয়েও পালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল মনাফ নামের এক গ্রাহক তবে ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় বর্তমানে তিনি ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন তবে খবরটি চওরা না হওয়ার জন্য আপসে শেষ করার জন্য অনেক কাকুতি মিনতি ব্যাংক থেকে করা হয় বলে তিনি মুঠোফোনে জানান শুভপ্রতিদিন কে। এছাড়া ব্যাংকে স্টেটমেন্ট দেয়া হয়না বল অভিযোগ রয়েছে অনেকে। খবর পেয়ে এ প্রতিবেদক সততা জানার জন্য নগরীর জিন্দাবাজার ইসলামি ব্যাংক শাখায় অনুসন্ধানে নামে। প্রথম দিনে শাখা ব্যবস্থাপক মো. এনামুর রহমান কে না পেলেও শাখার অপারেশন ম্যানাজার সালেহ আহমদের সাথে কথায় হয় । তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তিনি নতুন এসেছেন তবে গ্রাহকের সাথে লোনজালিয়াতি সততার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত আছেন। তিনি বলেন, অনিয়ম হলেও আপোস করার কথা উঠে এলো তার কথায়। বললেন ব্যবস্থাপকের অনুমতিছাড়া কথা বলতে নারাজ তবে পরদিন ব্যবস্থাপকের সাথে বিকেল ৪ টায় দেখা করার জন্য এই প্রতিবেদক কে বলেন, তার কথা অনুসারে কয়েকদফা যোগাযোগের পর ব্যাংকটিতে পরদিন বিকেল ৪ টায় জিন্দাবাজার ইসলামি ব্যাংক গিয়ে হাজির হলেন প্রতিবেদক। সিলেট ব্যাংক থেকে তাঁর জিন্দাবাজার শাখায় গ্রাহকদের সাথে অনিয়ম জানতে চাওয়া হলে ব্যবস্থাপক মো, এনামুর রহমান বলেন পুরোপুরো অবগত রয়েছেন ।তবে যেসব জালিয়াতি বা অনিয়মের কথা শুনেছেন, তা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সে কোথায় আছে তিনি জানেন না। তবে গ্রাহকদের প্রতি আশ্বা প্রদান করে বলেন, সিলেট বিভাগের সকল কর্মকর্তা নিয়ে শনিবারে বনভোজন আছে, সো বনভোজন শেষে আমরা আগামি সোমবারের মধ্যে উদাও হয়ে যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হোসাইনের জীবন বৃত্তান্ত বের করবেন ,তিনি গ্রাহকদের পক্ষ নিয়ে বিভাগীয় মামলা করার আহবান করেন। গ্রাহকরা জানান জিন্দাবাজার শাখায় ঋণ প্রদানের সময় গ্রহকের সাথে ঋণের শর্তাবলী নিয়ে ব্লাকè চেক নেওয়া হয়। পরর্ততীতে কয়েকদিন পর গ্রাহকের সাথে মোটাঅংকের প্রতারাণা করা হয় বলে জানান তারা। ব্যাংকে লোন জালিয়াতি ও গ্রাহকের টাকা মেরে ব্যাংক কর্মকর্তা পালিয়ে যাবার ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের উপমহাব্যবস্থাপক ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা শামীমা নার্গিস জানান বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তাদের কাছে এব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে যেসব গ্রাহকরা এরকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন, লিখিত অভিযোগ দিলে তারা সাংাবিধানিক অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

 

এ বিভাগের অন্যান্য