ওসমানীতে ঘুষকান্ড: ৩ দিনের রিমান্ডে আমিনুল ও সুমন

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুষ গ্রহণকালে ৬ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে আটক দুই নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেবের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিলেটের আদালত।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন-১ আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই রাশেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ও সুমনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটক করে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বাদী হায়ে কোতোয়ালি থানায় নগরীর কাজলশাহ এলাকার ১৭৬ নম্বর বাসার মৃত মজর আলীর ছেলে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেককে প্রধান আসামি করে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বিরাশী গ্রামের মৃত সুনীল কুমার দেবের ছেলে সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেবের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা (নম্বর-১০) দায়ের করেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ।

জানা গেছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ (নার্স) গীতা রানী হালদারের গত আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল করে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে গীতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিতে রাজি করান। এরপরে গীতা তাকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে সাদেকের দাবি করা বাকি ৬ লাখ টাকা আমিনুলের কাছে জমা দেন গীতা। তখন গোয়েন্দা সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিনুলকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ আটক করেন। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে সুমনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পুলিশকে জানায়, সাদেকের নির্দেশনায় ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ কাজ করে আসছেন তারা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘সাদেকের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ওসমানী হাসপাতাল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য দফতরে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সাদেককে প্রধান আসামি করে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

ৃএদিকে ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন সকল অপকর্মের মূল হোতা সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেক। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন।

এ বিভাগের অন্যান্য