নানা অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে উপজলার পৈলনপুর গ্রামের লোকজন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামীম আহমদ বলেন, প্রবাসী ব্যক্তিদের অর্থায়ন ও সরকাারি বরাদ্দে পুর্ব পৈলনপুর ঈদগাহের সংষ্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন গ্রামবাসীর মতামতের তোয়াক্কা না করে ঈদগাহের সংস্কার কাজের দাতা হিসেবে এককভাবে তার চাচাতো ভাই রানু মিয়া ওরফে ধনাই মিয়ার নাম ব্যবহার করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ১২মে গ্রামবাসীর পক্ষে বিভিন্ন তথ্যাদি সংযুক্ত করে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীর মনে রক্তক্ষরণ হয়। এর বহিঃপ্রকাশে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে গত ঈদুল-ফিতরের আগেরদিন বৈঠকে বসার জন্য চেয়ারম্যানকে আহবান করা হয়। আহবানে সাড়া না দিয়ে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা মিমাংশার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। ঈদগাহের ফটকে নাম ফলক কেউ উঠাতে পারবে না বলে চেয়ারম্যান হুমকি দিয়েছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের পুর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের সেক্রেটারি এই শিহাব চেয়ারম্যান বিগতদিনে এলাকায় দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব ধরণের অপকর্ম করেছেন। ৫ই আগস্টে পট পরিবর্তনের পর বিএনপির কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু নেতাকর্মীর সাথে আঁতাত করে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার সহযোগী রাসেল ও সুমন পৈলনপুর এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঈদগাহে ঈদের জামাত না পড়তে নিষেধ করে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেন। এতে অধিকাংশ মুসল্লি পৈলনপুর নতুন মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেন। বিষয়টি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পুর্ব পৈলনপুর ঈদগাহ এবং মসজিদ কমিটির মোতওয়াল্লী আব্দুল হান্নান ও গ্রামবাসীর পক্ষে চমক আলীসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো বানোয়াট-ভিত্তিহীন, এসব ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। সংস্কার কাজে যিনি ৩৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে নাম ফলকে তার নাম দেয়া হয়েছে। এতদিন পর অভিযোগ তোলার কারণ কী তা বুঝতে পারছি না।

এব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য