গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ ও ফোন চেক নিয়ে সারজিস-হাসনাতের স্ট্যাটাস

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আত্মগোপনে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতারা।

এ অবস্থায় ১৫ আগস্ট ঘিরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিরও আশঙ্কা ছিল। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে সতর্ক থাকতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচির ঘোষণা করে।

শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় জমায়েত হয় শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ফোন চেক করে হেনস্তা করা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘সকল প্রকার অন্যায় সিস্টেমকে উপড়ে ফেলার জন্যই ছাত্রজনতার এই বিপ্লব। মানুষের প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ আমরা সমর্থন করি না।

এছাড়া এদিনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেকজন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ছাত্রলীগ ফোন চেক করলেও প্রাইভেসি লঙ্ঘন, আপনারা আজকে যেটা করলেন সেটাও প্রাইভেসি লঙ্ঘন। প্রাইভেসি লঙ্ঘন যেই করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।’

আগের আরেকটি স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেন, ‘যাঁরা মত প্রকাশ করতে চায় তাঁদের নিরাপত্তার তুলনায় যাঁরা দ্বিমত প্রকাশ করতে চায় তাঁদের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপের নিন্দা জানাই।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে ছিল ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার দফা দাবিগুলো হলো-

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য