‘তোমার ছেলে দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে, তোমরা গর্বিত বাবা-মা’

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

তোমার ছেলে চিরবিদায় নিয়েছে তাতে দুঃখ করিও না। তোমার ছেলে দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। সে জন্য তোমরা গর্বিত বাবা-মা। মৃত্যুর ৪ মিনিট আগে বন্ধু সালমানের কাছে কথাগুলো বলে গেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইরফান।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের সামনে ইরফান পিঠে গুলি ও মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন। এ সময় তার শরীর থেকে প্রচণ্ড রক্ত ঝরছিল।

তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী সুফ্রিম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের লোকজন তার চিকিৎসা না করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে দেরি করেন।

পরে তাকে রাজধানীর কোর্টকাছারির সামনে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইরফানের একাধিক বন্ধু প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানান, ইরফান যাত্রাবাড়ীতে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে আবার মাথায় আঘাত পেয়ে তার শরীর থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছিল। তখন ইরফান বলেছেন— আমি মনে হয় বাঁচব না। তোমরা কোটা সংস্কার না করে ঘরে ফিরে যাইও না। আমার মা-বাবাকে বলিও যেন দুঃখ না করে। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলিও— মা তোমার ছেলে চিরবিদায় নিয়েছে, তাতে দুঃখ করিও না। তোমার ছেলে দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। সে জন্য তোমরা গর্বিত বাবা-মা।

এ বিভাগের অন্যান্য