বিধবা নারীর সঙ্গে কিশোরের প্রেম: রাতে দেখা করতে এসে ধরা, অতপর…

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিধবা নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এক কিশোরের। রাতে দেখা করতে এসে ধরা পড়েন ওই কিশোর। একদিন আটক রেখে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরে দেওয়া হয় বিয়ে।

রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর গ্রামে মোমিন মিয়ার ছেলে মাছুম মিয়ার সঙ্গে তিন মাস আগে মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার বিধবা কন্যা এক সন্তানের জননী সীমা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত শনিবার সন্ধ্যায় বিধবা নারী সীমা আক্তারের বাড়িতে কিশোর মাছুম মিয়া গোপনে দেখা করতে আসে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েক যুবক রাত ৮টার দিকে সীমা আক্তার ও মাছুম মিয়াকে এক ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।

পরে রাতভর ঘরে আটকে রেখে রোববার সারা দিন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে মধ্যরাতে শতাধিক এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির উপস্থিতিতে বিধবা নারীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে ওই কিশোরের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাতেই কিশোরের সঙ্গে বিধবা নারীকে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে কিশোরের সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরের বিষয়টি কিশোরের পরিবার কোনো কিছুতেই মানতে পারছে না। তাদের অভিযোগ ছেলেটিকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নিবে।

জানতে চাইলে কিশোরের বাবা মোমিন মিয়া বলেন, আমার ছেলেটিকে কৌশলে মেয়েটি তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে একদিন আটক রেখে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাকে না জানিয়ে বিয়ে দিয়েছে। আমি আদালতে মামলা করব।

জানতে চাইলে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব মুঠোফোনে জানান, ছেলেটিকে বিধবা নারীর সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরা আপত্তিকর অবস্থায় ধরে। মেয়ের পরিবার স্থানীয় ব্যক্তি এবং ছেলে পক্ষের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের সম্মতি ক্রমে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দুপক্ষের কোনো অভিযোগ ছিল না।

এ বিভাগের অন্যান্য