ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে থাকবে বিএনপি
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র জানায়, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বুঝেশুনে সামনের দিকে এগোতে চায় তারা। অর্থাৎ যেকোনো কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
বিএনপি বলছে, গণমানুষের দাবি এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই নির্বাচনের পর কিছুদিন বিরতি দিয়ে সারা দেশে সাংগঠনিক সব পর্যায়ে কালো পতাকা মিছিল পালন করা হয়েছে।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মূল্যায়ন, গত ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রথম কার্যদিবসে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন তাঁরা। এর আগে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারিও কালো পতাকা কমসূচি পালন করে দলটি।
তখনো বাধা দেওয়া হয়েছে অনেক জায়গায়। এর মাধ্যমে নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরেছেন তাঁরা। তবে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে নীতিনির্ধারকরা সন্তুষ্ট। সদ্য কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া নেতাকর্মীরাও অংশ নেওয়ায় দলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলেও সরকারের ভিত্তি নড়বড়ে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। এখন সরকার চাপে আছে। এ অবস্থায় সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আছি। এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাব।’
বিএনপি নেতারা জানান, কিছুদিনের মধ্যে দল পুনর্গঠনের কাজে হাত দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একেবারে জেলা পর্যায় থেকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরগুলো পুনর্গঠন করা হবে। আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন না, কর্মীদের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ ছিল না, তাঁদের পুনর্গঠনপ্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হতে পারে। কারণ প্রাথমিক মূল্যায়নে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতাদের, বিশেষ করে অঙ্গসংগঠনের কাজে ক্ষুব্ধ বিএনপির হাইকমান্ড। দলটি মনে করছে, আন্দোলনে অঙ্গসংগঠনগুলো রাজপথে প্রত্যাশিত সক্ষমতা দেখাতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ছাত্রদলের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুনর্গঠনের কাজ ব্যাপকভাবে হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।