টানা নবমবারের সংসদ সদস্য শেখ সেলিম

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

টানা নবমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি কাস্টিং বৈধ ভোটের মধ্যে শতকরা ৯৮.৯০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী আসন গোপালগঞ্জ-০২ এ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা সবাই জামানত হারিয়েছেন। তাঁর এই বিজয়কে স্বগত জানিয়ে নির্বাচনি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মি ও সমর্থকরা।

রির্টার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানাগেছে, গোপালগঞ্জ দুই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৩জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৩৫টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৪৮২টি। এর মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম পেয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ভোট।

এই আসনে ভোটার উপস্থিতি হয়েছে শতকরা  ৮৩.১৯ ভাগ। 

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘১৯৮০ সালে গোপালগঞ্জ-০২ আসনে সংসদ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রথম বিজয়ী হন এবং গোপালগঞ্জের রাজনীতির হাল ধরেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির এক ডজন এমপি, মন্ত্রী গোপালগঞ্জের বিএনপি প্রার্থী কাবিবুর রহমান কাবিলকে ভিন্ন পথে এমপি বানাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে তা সম্ভব হয়নি।

’তিনি আরো বলেন, ‘এরপর তিনি ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বার, ১৯৯১ সালে তৃতীয়বার, ১৯৯৬ সালে চতুর্থবার ২০০১ সালে পঞ্চমবার, ২০০৮ সালে ষষ্ঠবার, ২০১৪ সপ্তমবার, ২০১৮ সালে অষ্টমবার ও ২০২৪ সালে নবমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৭ম জাতীয় সংসদের মেয়াদকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির প্রেসিডিয়াম  সদস্য।’

প্রথম জয়ের পর শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

তিনি হয়ে ওঠেন গোপালগঞ্জের মানুষের প্রাণের নেতা। ওই নির্বাচন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ৯ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। 

শেখ সেলিমের সাথে প্রতিটি নির্বাচনেই জামানত হারিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী শাহিন লাঙ্গল প্রতীকে এক হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন। জাসদ প্রার্থী ফুল মিয়া মোল্লা, মশাল প্রতীকে ৬২২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সোনালী আঁশ প্রতীকে ৫৪৫ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী রকেট প্রতীকে  ৩৭০ ভোট  ও মুক্তি জোটের প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ ছড়ি প্রতীকে ১২২ভোট পেয়ে জামানত হারান।

এ বিভাগের অন্যান্য