বিদায় নিচ্ছে পৌষ, শীত নিয়ে যা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস
সিলেটের সময় ডেস্ক :
সপ্তাহখানেক পরেই বিদায় নিচ্ছে পৌষ। তবে ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের অনুভূতি বাড়লেও উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলা বাদে সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহের দেখা মেলেনি।
আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় এল নিনোর প্রভাবেই শীতকালে শৈত্যপ্রবাহ অতীতের মতো আর হচ্ছে না। এবার, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
যদিও দেশের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। সেখানে পঞ্চগড়-দিনাজপুরসহ তিন-চারটি জেলায় দুই দফায় চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তবে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির নিচে নামেনি। হিমেল হাওয়া, কুয়াশা এবং সূর্যের সীমিত উত্তাপের কারণে কয়েক দিন ধরেই উত্তরের বেশকিছু জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে হিমেল বাতাস বাংলাদেশে ঢুকছে তাতে শীতার্ততা আরও বেড়ে যাচ্ছে। বছরের শুরুতেই শীতের যে তীব্রতা শুরু হয়েছে, তা চলতি মাস জুড়ে থাকতে পারে।
আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, চলমান কুয়াশার প্রকোপ আগামী সোম-মঙ্গলবারের দিকে বিদায় নিতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘শীতের তীব্রতা চলতি মাসে থাকবে, কখনো বাড়বে বা কমবে। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতের পারদ ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি এবং দিনের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২৬-২৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে হিমেল বাতাস বাংলাদেশে ঢুকছে, তাতে শীতের অনুভূতি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা একটু কম থাকার কারণে সারা দেশেই শীতের তীব্রতা আছে এবং এই অনুভূতি মাস জুড়েই থাকতে পারে।’