সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না: তৈমূর
সিলেটের সময় ডেস্ক :
আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
শুক্রবার বিকালে তার নির্বাচনি এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তৈমূর।
আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনবাজারে রূপগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় কয়েকজনকে রামদা-ছুরি নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় আটজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে তৈমূর আলম বলেন, রূপগঞ্জের কাঞ্চনে বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে যেভাবে খুনোখুনি (সংঘর্ষ) হইছে, যেভাবে রাম দা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হইছে, এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি৷ জনমনে তো আতঙ্ক ঢুকে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, অস্ত্র প্রদর্শন হয় আর প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যবস্থা না নেন, তা হলে আমাদের নিরাপত্তাও তিনি দিতে পারবেন না৷ তা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন যে হবে না, বিরোধী দলের এই কথা প্রমাণিত হবে।
সারা দেশে তৃণমূলের প্রার্থীরা ‘এমপি বাহিনী দ্বারা’ বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। রাতের আঁধারে পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব।
তিনি বলেন, চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয়নি৷ নির্বাচন কমিশন কি শুধু শোকজ করবে নাকি অ্যাকশনেও যাবে, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি৷ তার পর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা জাতির সামনে সব তুলে ধরব৷ নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবিও জানান তৈমূর আলম।
তৈমূর বলেন, ২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল; কিন্তু তারা ছিলেন কেবল সাক্ষীগোপাল৷ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেবল ডাইনে-বাঁয়ে ঘুরছে, কারও কোনো অভিযোগ শোনেওনি, ব্যবস্থাও নেয়নি৷ কারণ তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি— সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হোক৷ যাতে কোনো অপরাধ বা সন্ত্রাস সংঘটিত হলে, জোর করে সিল মারলে, ব্যালট ছিনতাই বা কোনো কারচুপি হলে সেনাবাহিনী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে৷ জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করেন যে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য।
কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হয় দাবি করে তৈমূর আলম আরও বলেন, সেনাবাহিনী যেন রাস্তাঘাটে না ঘুরে কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে৷ নতুবা সেনাবাহিনী নিয়োগ করেও কোনো লাভ হবে না।