বিবিএসের প্রতিবেদন নভেম্বরে কমেছে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

বাজারে খুব বেশি দাম না কমলেও নভেম্বরে কমেছে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এ হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর সঙ্গে কমেছে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিও।

এই হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সিপিআই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, আমি আগেই ধারণা দিয়েছিলাম যে, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমবে। সত্যি সত্যিই কমেছে। এর অন্যতম কারণ হলো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাজারে শীতকালীন শাকসবজি উঠেছে। ফলে দাম কমেছে। সেইসঙ্গে নতুন করে পণ্যমূল্য আর বাড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই এ সময়টাতে মূল্যস্ফীতি কম থাকে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এছাড়া নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ০১ শতাংশ।

এদিকে নভেম্বরে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা  তার আগের মাসে ছিল  ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বেড়েছে মজুরি হার : বিবিএসের হিসাবে নভেম্বরে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মজুরি হারের মধ্যে কৃষিতে বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক  ১৪ শতাংশ।

এ বিভাগের অন্যান্য