৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আত্মগোপনের কৌশলে বিএনপি
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এক মাস আগে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছিল বিএনপি। কিন্তু দলটি তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। উল্টো হামলা-মামলা এবং দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ায় বেশ চাপে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে দলটির সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির নীতিনির্ধারকদের পরামর্শে জ্যেষ্ঠ নেতারা এখনো আত্মগোপনে আছেন।
এর কারণ হিসেবে দলের একজন নেতা বলেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রকাশ্যে এলে তাঁদের বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা ছোট ছোট রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হতে পারে। সে জন্যই ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নেতাদের আত্মগোপনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির এই কৌশল নিয়ে কোনো নেতা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি।
গতকাল সোমবার বিস্ফোরক আইনের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান একরামুজ্জামান। জামিনের তিন ঘণ্টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন এক ব্যক্তি।
বিএনপির তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গুরুত্বপূর্ণ ২০ জন নেতাসহ ১৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৩৫টির বেশি রাজনৈতিক মামলা করেছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
দলের এমন অবস্থার মধ্যে গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার অবরোধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল পালন করবে দলটি। রুহুল কবীর রিজভী মনে করেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এ অবস্থায়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সাহসী ভূমিকা রাখছেন।’