মধ্যরাতে বাড়িতে বিস্ফোরণ, এলাকাবাসী বলছে ককটেল বানাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিস্ফোরণে মনির বয়াতি (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মাঝি (৩৫) নামে আরো একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ককটেল বানানোর সময় বিস্ফারণ ঘটে মনিরের মৃত্যু হয়।

 

গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়ননের জনতা বাজার এলাকার আজাহার মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনির বয়াতি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব আলীর ছেলে ও আহত ফিরোজ একই এলাকার অজিউল্যাহ মাঝির ছেলে। তাঁরা দুজন বাড়ির মালিক আজহার মাঝির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন

বাড়ির মালিক আজহার মাঝি জানান, রাতের খাবার শেষে পরিবারের লোকজন নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে বিকট শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়।

ঘুম থেকে উঠে দেখেন পুরো ঘর ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন। এ সময় তাঁদের বাড়িতে ঘুরতে আসা মনির বয়াতি ও ফিরোজ মাঝিকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখেন। তখন তাঁরা জানান, বাহির থেকে কেউ ঘর লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছে। পরে আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে তাঁদের বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরিশাল যাওয়ার পথে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে মনির বয়াতি মারা যান। আহত ফিরোজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন মিয়া জানান, মনির বয়াতি বোমা বানানোর কারিগর ছিলেন। তিনি অনেক দিন থেকেই বোমা বানানোর কাজের সঙ্গে জড়িত বলে এলাকার মানুষ জানতেন।

কিন্তু তাঁর ভয়ে কেউ তা প্রকাশ করেনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, বোমা বানাতে গিয়েই মনির বয়াতি ও তাঁর সহযোগী ফিরোজ মাঝি আহত হয়েছেন। যাদের তত্ত্বাবধানে তাঁরা বোমা তৈরি করতেন তাঁরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। এদের ভয়ে এলাকার মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকত।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব-উল আলম জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার পক্রিয়া চলছে। তবে তিনি বোমা বানাতেন কিনা সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ঘটনায় পক্ষ-বিপক্ষে বিভিন্ন কথা আসছে। রাতের ঘটনা হওয়ায় বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

এ বিভাগের অন্যান্য