‘আ. লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, শিশুদের কল্যাণে কাজ করেছে’

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মনে বড় হওয়ার স্বপ্ন ও সাহস জাগিয়ে দিতে সরকার সব সময় বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে শিশুদের পরপূর্ণ বিকাশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সুশিক্ষা ও সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিশুদের অধিকার রক্ষা কল্যাণে কাজ করেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। ‘শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের শিশুদের আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বছর আগেই ১৯৭৪ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণীত হয়। জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন, শিশুর সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া সমৃদ্ধ জাতি গঠনের ভিত্তি নির্মাণ সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেই প্রজ্ঞাপূর্ণ উপলব্ধি আজ আমাদের প্রেরণা।

তিনি বলেন, আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সরকার শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপযোগী সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা বিশ্বের যে কোনও উন্নত দেশের শিশুদের মতই মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান। তারা নানাবিধ প্রতিযোগিতা ও সৃজনশীল ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চ থেকে সাফল্য ছিনিয়ে আনছে। আমাদের সরকার বাল্যবিবাহ নিরোধ, শিশুর সুষম বিকাশ সাধন ও সুরক্ষা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। তবু শুধু সরকারি পদক্ষেপই এ জন্য যথেষ্ট নয়। শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন একান্ত জরুরি। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সব সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আজ যারা শিশু, তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হবে ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশ অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ এর সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন। সূত্র: বাসস।

এ বিভাগের অন্যান্য