সরকারকে পরাজিত না করে খালেদা জিয়ার সৈনিকরা ক্ষান্ত হবে না : ফখরুল
গ্রেপ্তার, মামলা ও সাজা―কোনো কিছুই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবার দয়া করে আপনারা শান্ত হোন। এখনো বুঝতে পারছেন না, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এই দেশে ইয়াহিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি।
আজ সোমবার (০৯ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা দেশের জনগণ বুঝে গেছে। জনগণ এত বোকা নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার আজকে এত ভীতসন্ত্রস্ত যে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, সাজা দিচ্ছে। এরা মনে করেছে এসব সাজা দিয়ে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন একেকটা সাজা, গ্রেপ্তার হাজার হাজার নতুন সৈনিক তৈরি করছে।
ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার, সাজা দিয়ে আমাদের রুখে দেওয়া যাবে না। বিএনপি এখন জেগে উঠেছে এবং সরকারের পতনের জন্য মরণপণ আন্দোলন করছে। সরকারকে পরাজিত না করা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সৈনিকরা ক্ষান্ত হবেন না।’
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আমিনুল হক ও লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আজম খান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।