‘শুনেছি আমারও নাম ভিসানীতিতে আছে’

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।তার পর থেকেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গটি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।

তবে কাদের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও বেশ কয়েকজনের নাম থাকা নিয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে। এর মধ্যে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নামও শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন সাবেক এই বিচারপতি।

দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশো ‌‘মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্ট’ অংশ নিয়ে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি- আমারও নাম নাকি ভিসানীতিতে আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নামও নাকি আছে। এটা দিয়ে কি হবে। আমাদের তো আমেরিকা যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি তো লন্ডনে থাকি।’

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও বলেন, ‘আমি জানি না, কিছু লোক বলছে। যারা নির্বাচন বিরোধিতা করছে, তাদের জন্য ভিসানীতি। আমরা তো চাই নির্বাচন হোক। সুতরাং আমার নাম যদি তালিকায় থেকে থাকে, তবে তা কীসের ভিত্তিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি সুপ্রিম কোর্টের সাবেক চার বিচারপতির নাম তালিকায় রয়েছে। এতে কিছু যাই আসে না। এতে আমাদের মাথাব্যথার কিছু নেই। কিছু লোককে যদি আমেরিকায় না যেতে দেয়, এতে নির্বাচনের কোনো ক্ষতি হবে না।’

ভিসানীতি আসার জন্য কারা দায়ী- সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির। আমার নাম যদি সত্যি থেকে থাকে, তা হলে নিশ্চিত বিএনপি আমার নাম পাঠিয়েছে। পয়সার জোরে তারা এটি করিয়েছে। আমি তো আর নির্বাচন পণ্ড করতে চাই না।’

এ বিভাগের অন্যান্য