যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে টাকা পাচারকারীদের ঘুম নেই: মান্না

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যারা দেশের লাখ কোটি টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যাংকে রেখেছেন তাদের ঘুম নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকরের পর ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য মানুষ এখন সিদ্ধান্তমূলক কর্মসূচির অপেক্ষা করছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ধারাবাহিকভাবে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে  সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।  দল-মত নির্বিশেষে দেশ ও জনগণকে রক্ষার চলমান সংগ্রামে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান মান্না।

সোমবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তালতলা মার্কেটের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে তালতলা মার্কেট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মালিবাগ হয়ে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মান্না বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিজের ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে সেদিকে কোনো নজর নেই। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কী যে অসুখ! তার বুকের মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল করে আমি ছবি দেখে এসেছি। যেটা তার শ্বাসনালীতে চলার কথা, সেটা রক্তনালীতে গেছে। যেটা ফুসফুসে থাকার কথা, সেটা হৃদপিণ্ডে গেছে। এই মানুষ এভাবে থাকলে বাঁচবেন না।

তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল বলছি,তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। মুক্তি দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দিন। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশ পাঠাবে না। আইনমন্ত্রী বলছেন, আমাদের আইনে বেগম জিয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আইনমন্ত্রীর কাছে যদি আইন না থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি একজন বন্দির চিকিৎসার জন্য মুক্ত করার ব্যবস্থা না থাকে , তাহলে তাদের দিয়ে কী করব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার জনমতকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশকে নানা দিক থেকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। একদিকে সরকারের বেপরোয়া তৎপরতায় সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে পরাশক্তি সমূহের হস্তক্ষেপের রাস্তাও তারা তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের এ আচরণের জন্য আজকে বাংলাদেশকে অবমাননাকর ভিসা নীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের বিদায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। না হলে গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের পথে সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির ঢাকা মহানগর পূর্বের আহবায়ক মোহাম্মদ নাসিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ।

এ বিভাগের অন্যান্য