নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতিতে সই না করা সংক্রান্ত বক্তব্য দেওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার কক্ষের সামনের নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। অপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক ওই নেমপ্লেট খুলে ফেলেছেন। আজ মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের ৫১০ নম্বর কক্ষ থেকে এমরানের নেমপ্লেটটি খুলে ফেলেন তিনি।

এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তার নেমপ্লেট আমি খুলে ফেলেছি। তার নেমপ্লেট এখানে থাকতে পারে না বলেই আমি মনে করি।’

এদিকে, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।’

তাহলে এখন কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি দেখব।’ এরপর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তার (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন, ড. ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে হবে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলে যে আইন সংস্কার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। সে রকমই বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করা আমার নিজস্ব চিন্তা।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত। তাই আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি।’

এ বিভাগের অন্যান্য