জাতিসংঘের অধীনে দেশে কখনো নির্বাচন হবে না: শামীম ওসমান
সিলেটের সময় ডেস্ক :
স্বাধীন বাংলাদেশে জাতিসংঘের অধীনে কখনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান।
আজ রোববার বিকেলে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দেশ। এ দেশ তোমার আমার দুজনের মা। এটা আমার মাতৃভূমি, এটা আমার ভবিষ্যৎ। এই মাতৃভূমি স্বাধীন করার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। এই মাতৃভূমিকে আবারও ক্ষতবিক্ষত করার জন্য আজকে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজকে লজ্জা লাগছে যেই দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশকে বলা হচ্ছে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন করার জন্য। এতে আমাদের মতো কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি খুশি হচ্ছে। যদিও এটা জীবনে কখনো হবে না, কারণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’
ক্ষমতাসীন দলের এই এমপি বলেন, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন রাতের আঁধারে ক্ষমতায় চলে আসবেন। ক্ষমতা তো অনেক দূরের কথা, ক্ষমতার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আসতে পারবেন না।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমার খুব অবাক লাগছে যে দেশ ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত দিয়ে কেনা এবং এই দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার কাছে আমরা কি জবাব দেব। কেউ রাজনীতি করে ইবাদত করার জন্য, কেউ আসে নিজের সম্পদ বাড়ানোর জন্য।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘সামনে তোমাদেরকে সবকিছু করতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউ কোনো কিছু করে দেবে না। তোমাদের জীবন মাত্র শুরু হয়েছে। সামনের দরজাটা খুব শক্ত, ওই দরজাটাকে লাথি মেরে তোমাদেরই ভাঙতে হবে। তোমাকে কিন্তু কেউ জায়গা করে দেবে না। এর জন্য তোমাদের দুটি জিনিস দরকার। একটা হচ্ছে মেধাগত শক্তি এবং মানুষের দোয়া।’
দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই এমপি বলেন, ‘সামনে যে ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে, এই কারণে তোমাদের মাথায় কোনো লোড দিতে চাই না। তবে একটা জিনিস মনে রাখবা, এই দেশটাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেন এই দেশটাকে আফগানিস্তান ও সিরিয়ার চেয়েও খারাপ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করব। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা লড়ব এবং জিতব ইনশাল্লাহ। এই বাজে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কইরেন না। এই ১৪ বছর নারায়ণগঞ্জ অনেক শান্ত ছিল, কেউ অশান্তির সৃষ্টি করবেন না। আমরা শান্তি চাই।’