সিলেটে বহিষ্কার হচ্ছেন আ.লীগের ৩৩ নেতা
নিউজ ডেস্ক: গেল উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ নেতাকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেট বিভাগের ৩৩ আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন এই বহিষ্কারের তালিকায়।
শনিবার (২০ জুলাই) দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জানা গেছে, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সিদ্ধান্তের পর বহিষ্কৃতদের কয়েক ধাপে চিঠি দেয়া হবে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হবে।
এর আগে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে (গণভবন) দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ওইসব নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে সিলেট জেলায় রয়েছেন- ১৪ জন, সুনামগঞ্জে ৭ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন ও হবিগঞ্জে ৯ জন।
সিলেট জেলার মধ্যে বহিষ্কারের তালিকায় রয়েছেন- সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিরাজী, কানাইঘাটে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবদুল বাছির, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আহমদ, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ মাসুম, গোয়াইনঘাটে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গোলাপ মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমদ, বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, দক্ষিণ সুরমায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ময়নুল ইসলাম ও ফেঞ্চুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া চারজন রয়েছেন এই তালিকায়। ওই চারজন হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নেতা নুরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ।
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে বহিষ্কারের তালিকায় রয়েছেন- ছাতক উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, দিরাই উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর আলম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, শাল্লা উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, ধর্মপাশা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম।
মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে বহিষ্কারের তালিকায় রয়েছেন- বড়লেখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ, জুড়ীতে হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক ও কুলাউড়া উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান।
হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে বহিষ্কারের তালিকায় রয়েছেন- সদরে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল আলম মাহফুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিক আহমেদ, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, বাহুবলে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল কাদির চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন, বানিয়াচং উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, মাধবপুরে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এহতেশামুল বার চৌধুরী লিপু ও শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমদ খান।